জঙ্গি সন্দেহে জনতার হাতে ১৭ জন আটক
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম
জঙ্গি সন্দেহে জনতার হাতে ১৭ জন আটক
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে জঙ্গি সন্দেহে ১৭ জনকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে ধরে সোমবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে পুলিশ পাহারায় আটক রাখা হয়েছে।
এদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সোহেল তানজিমও রয়েছেন বলে দাবি উঠেছে।
এদিকে আবদুল আহাদ মাহমুদ নামে একজন পঙ্গুও আছেন। যিনি জঙ্গিদের কমান্ডার হিসেবে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত বলে জানা গেছে।
এর আগে শনিবার সকালে কর্মধা ইউনিয়নের বাইশালী টিলায় থাকা জঙ্গি আস্তানা থেকে নারী-পুরুষসহ ১০ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট, সোয়াত ও পুলিশ।
এ সময় অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে থাকা অনেকেই পাহাড়ের ভেতরে আত্মগোপনে চলে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অভিযানের পর থেকে স্থানীয় এলাকায় আতঙ্ক কাজ করছিল। সবার ধারণা ছিল— পাহাড়ের ভেতরে সেই আস্তানা থেকে জঙ্গিদের কমান্ডার হিসেবে পরিচিত আবদুল আহাদ মাহমুদকে কাঁধে বহন করে চলে যায় তারা।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কর্মধা ইউনিয়নের আছকরাবাদ চা-বাগানের বাঁশফিল্ড খেলার মাঠ থেকে জঙ্গিরা ৫টি সিএনজি অটোরিকশাযোগে পালানোর চেষ্টা করছিল।
এ সময় তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হলে সিএনজিচালকরা সরাসরি কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। পরে কুলাউড়া থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসানও ঘটনাস্থলে আসেন।
সিএনজিচালক রবিউল্লাহ জানান, অপরিচিত লোকগুলো একজনকে কাঁধে বহন করে নিয়ে গাড়িতে আসে। আমার গাড়িতে তিনজন ওঠে। তারা আমাদের জানায় বনভোজনে এসেছে।
তারা মৌলভীবাজার যাবে। আমি তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করে কথাবার্তা সন্দেহ হলে কৌশলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসি।
আরেক সিএনজিচালক আবদুল কুদ্দুস জানান, আমার গাড়িতে ছয়জন অপরিচিত লোক উঠেছিল। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক ছিল। আমিও তাদের নিয়ে আসি পরিষদে।
কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ ১৭ জঙ্গি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতরা পরিষদের হলরুমে আছে।
তাদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রায় দেড় মাস আগে ওই জঙ্গিরা কর্মধা ইউনিয়নের বাইশালী টিলায় এক প্রবাসীর ৫০ শতক জায়গা ক্রয় করে বসতি স্থাপন করে।
অভিযানের পর থেকে কুলাউড়া থানা পুলিশের নজরদারিতে ছিল। রোববার রাতে তারা পাহাড় থেকে নেমে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।