সৌদি আরবের একটি সোফা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের ওবায়দুল হকের লাশ বুধবার তাদের বাড়িতে এসেছে।
লাশ বাড়িতে আসার পর তার অসহায় বৃদ্ধ মা ও বোনসহ পরিবারের লোকজনের মধ্যে নতুন করে শুরু হয়েছে শোকের মাতম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জুলাই ওবায়দুলের কর্মস্থল সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের একটি সোফা কারখানায় আগুন লেগে তার মৃত্যু হয়। ছোট সন্তানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে তার মা রাহেলা বেওয়া শয্যাশায়ী। সাত ভাই ও চার বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ওবায়দুল।
বুধবার দুপুরে নলডাঙ্গা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে আসে কফিনে মোড়ানো ওবায়দুলের লাশ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি অ্যাম্বুলেন্সে ওবায়দুলের বাড়িতে তার লাশ পৌঁছতেই স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।
আগুনে দগ্ধ ছেলের কফিনের দিকে গিয়ে পাগলের মতো বিলাপ শুরু করে ওবায়দুলের মা। সেই দৃশ্য দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি স্বজনরা। আদরের ছোট ভাইকে হারানোয় দীর্ঘ দিনের শোকের মাত্রা এক মুহূর্তেই বেড়ে যায় ভাইবোনদেরও।
দুপুরে মরদেহ আসার পরপরই স্থানীয় চাঁদপুর বাজারে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানান।