‘শেখের বেটির উছিলায় মুই বুড়া বয়সে পোলা লইয়্যা শান্তিতে ঘুমাইতে পারমু। মুই হারা জীবন ভাঙ্গা ঘরে আলহাম। বইন্ন্যা আর দেউইতে মুই পোলাডারে লইয়্যা কষ্ট হরছি। এ্যাহন শেখের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোরে থাহার লইগ্যা একটা ইডের ঘর দেছে। হেই ঘরে মুই পোলা লইয়্যা থাকতে পারমু। এ্যাহন আর মোর দেওইয়্যার ডর নাই। শীতে আর কষ্ট হরতে অইবে না। মুই শেখের বেটির জন্য দোয়া হরি যেন আল্লায় হ্যারে অনেক বচ্ছর বাচাইয়্যা রাহে।’

তিনি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের লইগ্যাও মুই দোয়া হরি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ‘গ্রাম হবে শহর’ প্রকল্পের ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বুধবার ছেলে হানিফের কোলে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের ৯০ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা আলেয়া বেগম এ কথা বলেছেন।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় ‘প্রত্যেকের জন্য বাড়ি, গ্রাম হবে শহর’ এমন ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর ও জমি দেওয়ার উদ্যোগ নেন।

এ প্রকল্পের অধীনে আমতলী উপজেলার চার ধাপে ৬৬৭ হতদরিদ্র, ভূমিহীন, অসচ্ছল ও প্রতিবন্ধী পরিবার পাকা ঘর ও জমির দলিল পান। প্রধানমন্ত্রীর এমন মহতী উদ্যোগে উপজেলার ৬৬৭ পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন। উপজেলার সকল অসচ্ছল, ভূমিহীন ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে গৃহ ও জমি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।

গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মাজেদা বেগম, খাদিজা ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের মুনসুরা বেগম, আল-আমির ও ফাতেমা বলেন, জীবনে স্বপ্নেও দেখি নাই পাকা ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পাকা ঘর ও জমির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সারা জীবন প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করব এবং পাশে থাকব।

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, হতদরিদ্র পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে বেশ খুশি। প্রধানমন্ত্রীর এমন মহতী উদ্যোগে ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে।

আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামাল হোসাইন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের চার ধাপে উপজেলায় ৬৬৭ হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অসচ্ছল, ভূমিহীন, প্রতিবন্ধী ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে উপজেলার একজন ভূমিহীন, অসচ্ছল ও প্রতিবন্ধী পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।