মা হলেন ভারসাম্যহীন নারী, শিশুকে কোলে নিয়ে প্রশংসায় ভাসলেন ইউএনও
ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২২ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সন্তান প্রসব করেছেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। তবে নবজাতকের বাবার পরিচয় পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে নবজাতকসহ ওই নারীর পরিবারকে দেখতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক।
সোমবার সন্ধ্যায় উপহারসামগ্রী নিয়ে ইউএনও ওই নারীর বাড়িতে যান। এ সময় নবজাতককে পরম মমতায় কোলে তুলে নিয়ে এলাকার মানুষের প্রশংসা পান।
একইসঙ্গে নবজাতক ও প্রসূতি মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ওই পরিবারে তার বাবা-মা, এক ভাই এবং ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের হারুন শেখের মেয়ে রিক্তা। সে ছাড়াও বাবা-মা ও এক ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন। রিক্তার মা মানসিক ভারসাম্যহীনতা হারিয়ে অনেক আগেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। বর্তমানে একমাত্র ফুপু রিনা বেগমের আশ্রয়ে রয়েছেন তারা। এক সপ্তাহ আগে একটি ফুটফুটে সন্তান জন্ম দেন রিক্তা। খবর পেয়ে আলফাডাঙ্গা ইউএনও রফিকুল হক ওই বাড়িতে ছুটে যান।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ কেজি চাল, ফলমূল, সদ্যজাত সন্তানের জন্য নতুন পোশাক উপহার হিসেবে দেন তিনি। পরে মা ও নবজাতকের সুচিকিৎসার জন্য আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন ভারসাম্যহীন মেয়ের সঙ্গে যে পুরুষ এ ঘৃণ্যতম কাজটি করেছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. আবিদ হোসেন বলেন, রিক্তা সাধারণভাবেই সন্তান প্রসব করেছেন। ইউএনওর নির্দেশে আমরা তার যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। বর্তমানে মা ও নবজাতক সুস্থ আছে।
এ বিষয়ে ইউএনও রফিকুল হক বলেন, শিশুটিকে দেখে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। তাই তাকে কোলে তুলে নেই। তাদের চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুটির মা একটু অসুস্থ হলেও শিশুটি সুস্থ আছে।