স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগিয়ে দুই গাড়িতে যাচ্ছিল ৬ মণ গাঁজা!
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫২ পিএম
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সদস্যরা ছয় মণ গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছেন। দামি এসব গাড়িতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগিয়ে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি দুটিকে চ্যালেঞ্জ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল সোমবার সকাল ৭টার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার লালোরবাজার এলাকায় এ অভিযান চালায়। গাঁজার চালানটিও এসেছিল কুড়িগ্রাম থেকে।
সোমবার বেলা ১১টায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানানো হয়।
অভিযানে গ্রেফতার তিনজন হলেন- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার কুরুশা ফেরুশা গ্রামের নূর আলিম সরকার মিলন (৩৭), একই উপজেলার ধুলারকুটি গ্রামের মোমিনুল ইসলাম (৩৬) এবং পানিমাছকুটি গ্রামের হোসাইন আহমেদ (২৩)। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা দুটি গাড়ির মধ্যে একটি দামি পাজেরো জিপ এবং অন্যটি হায়েস মাইক্রোবাস। এই গাড়িতে করেই মেঠোপথে আসছিলেন তারা।
পাজেরো গাড়িটিতে ১৫০ কেজি এবং হায়েস মাইক্রোবাসটিতে ৯০ কেজি গাঁজা পাওয়া গেছে। মোট ২৪০ কেজি গাঁজা নাটোর ও পাবনায় পৌঁছানো হতো বলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক জিল্লুর রহমান জানান, মাদক কারবারিরা প্রতিনিয়ত কৌশল বদলাচ্ছে। তারা দামি জিপ থেকে শুরু করে কার্গো ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, পাওয়ার টিলারের মতো যানবাহন ব্যবহার করছে গাঁজা পাচারে। এ অভিযানে গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে নূর আলিম সরকার মিলন কুড়িগ্রামের একজন শীর্ষ মাদক কারবারি। লোক দেখানো ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার করে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন তিনি। হোসাইন আহমেদও মাদকের অন্যতম হোতা।
গত ২৬ মে হোসাইন আহমেদকে ১১০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সদস্যরা। গ্রেফতারের ২৬ দিনের মাথায় তিনি আদালতে জামিন পান। কারাগার থেকে বেরিয়েই তিনি শুরু করেন গাঁজার কারবার। এরপর আবার গ্রেফতার হলেন তিনি। মোমিনুল এ দুজনের সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, গত ৬ মাসে আমরা বিপুল পরিমাণ গাঁজার চালান জব্দ করেছি। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত নিজেদের কৌশল বদল করছে। আমাদেরও কৌশল বদলে কাজ করতে হচ্ছে। মাদকের হোতাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে বলে চালানগুলো ধরা পড়ছে।