বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলা হলে হেলমেটধারীদের হামলায় ১০ শিক্ষার্থী আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আহতদের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ১১টার দিকে প্রথমে হেলমেট ও মাক্স পরা ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল শেরে বাংলা হলে যায়। তারা হলে ঢুকে হলের প্রধান গেট আটকে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের কক্ষগুলো বাইরে থেকে সিটকানি লাগিয়ে দেয়। তারা চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় গিয়ে কয়েকটি কক্ষে তল্লাশি করে।
এরপর শেরে বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু হলের মধ্যবর্তী মাঠ পেরিয়ে সরাসরি বঙ্গবন্ধু হলের চতুর্থ তলায় প্রবেশ করে তারা। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা মুয়ীদুর রহমান বাকি, সাইমুন ইসলাম, ইরফান হোসেন রাজ, ইবনে গালিব, রাকিবুল হোসেন রনি, সোহেল রানা, আয়াত উল্লাহসহ মোট ১০ জনের ওপর ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।
আহত শিক্ষার্থী সাইমুন ইসলাম জানান, রাতে গণিত বিভাগের মুবাশ্বির রিদমের নেতৃত্বে বাংলা বিভাগের তাহমিদ জামান নাভিদ, ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের আল সামাদ শান্তসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন মুখোশ ও হেলমেটধারীরা হামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর এই পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে।
আরেক আহত মুয়ীদুর রহমান বাকি বলেন, আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের অধিকাংশই বিগত দিনে নানা অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু তারপরও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এভাবে হামলা চালানোর সাহস পেয়েছে তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, রাতে হামলার বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মুবাশ্বির রিদমের মোবাইলে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।