Logo
Logo
×

সারাদেশ

সেই ২৩ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ১৮ জন পাশ

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪২ পিএম

সেই ২৩ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ১৮ জন পাশ

বগুড়ার কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সেই ২৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী আইসিটির ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। তবে অন্য বিষয়ে ফেল থাকায় পাঁচজন পাশ করেননি। কেন্দ্র সচিব ওই পরীক্ষার ফলাফল সঠিকভাবে অনলাইনে না পাঠানোর কারণে তারা সবাই ফেল করেন।

বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী জানান, আবেদন ও ফলাফলের হার্ডকপি দাখিলের পর শিক্ষা বোর্ড ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাশ দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে এ ফলাফল প্রকাশ করেছে।

বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তাদের ১০৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল ২৩ জন। কেন্দ্র ছিল একই উপজেলার তাইরুন্নেছা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।

গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ওই ২৩ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। তাদের ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে বোর্ডে যোগাযোগ করে জানা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল বিধি মোতাবেক এবং যথাসময়ে অনলাইনে না পাঠানোর কারণে তারা কৃতকার্য হতে পারেনি।

এদিকে ২৩ শিক্ষার্থী ফেল করায় তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। লোকলজ্জায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছিল না। অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

কাহালু মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফএমএ সালাম কেন্দ্র সচিব ও তাইরুন্নেছা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিনকে অবহিত করেন। তখন তিনি (কেন্দ্র সচিব) দাবি করেন, বিধি মোতাবেক আইসিটি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এরপর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলীর নির্দেশে কেন্দ্র সচিব বেলাল উদ্দিন গত রোববার ফলাফলের হার্ডকপি নিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে যান।

কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফএমএ সালাম বলেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বিধি মোতাবেক ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র না পাঠানোর কারণে তার ২৩ ছাত্র এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে। কেন্দ্র সচিবের উদাসীনতায় এমনটা হয়েছে। মঙ্গলবার নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ২৩ জনই আইসিটির ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাশ করেছে। তবে অন্য বিষয়ে ফেল থাকায় পাঁচজন পাশ করতে পারেনি। পাশ করা ১৮ জনের মধ্যে একজন জিপিএ-৫, পাঁচজন এ গ্রেড ও ১২ জন এ মাইনাস গ্রেড লাভ করে। অকৃতকার্য পাঁচজনের মধ্যে গণিতে তিনজন, বিজ্ঞানে একজন ও বাংলায় একজন ফেল করেছে।

বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী জানান, এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব বা অন্য কারো গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম