বেড়েছে জিরার দাম, ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের
হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৩, ১২:৫৭ পিএম
একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ৪ টাকা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা দরে। যা সোমবার বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। তবে নিম্নমানের পেঁয়াজ ২০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ১৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ভারত থেকে আমদানিকৃত জিরার দাম। কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা দরে। যা ১৫ দিন আগেই বিক্রি হয়েছিল ৯০০ টাকা কেজিতে।
মঙ্গলবার সকালে হিলি বাজার ঘুর এ তথ্য জানা যায়। পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও জিরার দাম বেশি হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। ভারত থেকে আমদানিকৃত জিরার এলসি বেশি হওয়াতেই দাম বেড়েছে বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
হিলি বাজারের জিরা বিক্রেতা আব্দুল্লা আল সবুজ বলেন, ১৫ দিনের ব্যবধানে জিরার দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানিকারকরা বলছেন জিরা আমদানি করতে তাদের এলসির ডিউটি বেশি দিতে হচ্ছে। যার ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। দাম বেশি হওয়ার কারণে আগের থেকে ক্রেতা অনেকটাই কম।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, একদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ভালো মানের পেঁয়াজটার দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে কেজি প্রতি ৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকায় এবং একটু খারাপ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। আমদানি বেশি হওয়ার কারনেই কমতে শুরু করেছে দাম। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা জিরার শুল্কায়ন দ্বিগুণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে টানা ৭ দিন ধরে জিরা খালাস বন্ধ রয়েছে হিলি স্থলবন্দরে। এতে খালাসের অপেক্ষায় প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন জিরা বন্দরে পড়ে আছে। পুরোনো এলসির আমদানি করা জিরা পূর্বের শুল্কায়ন মূল্যে ছাড়করণের জোর দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়বে। এছাড়াও বেশি শুল্কায়ন করলে বাজারে দামে প্রভাব পড়বে।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, সোমবার ভারতীয় ৪৪ ট্রাকে এক হাজার ৩৩২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ভারতীয় ১১ ট্রাকে ২৯৫ মেট্রিকটন ১৭০ কেজি জিরা আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।