
প্রিন্ট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা সম্পাদক প্রণতি

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০৭:০৩ পিএম

আরও পড়ুন
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১১তম জাতীয় সম্মেলনে ১৮ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তম আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহবানে ২৮-২৯ জুলাই রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমাকে সভাপতি এবং প্রণতি বিকাশ চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত করে জনসংহতি সমিতির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট ১২তম কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ঊষাতন তালুকদার সহ-সভাপতি ও শক্তিপদ ত্রিপুরা সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার সংগঠনটির তথ্য ও প্রচার বিভাগের সহ-সম্পাদক সজীব চাকমার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব খবর জানানো হয়েছে।
সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তিন পার্বত্য জেলা শাখা, থানা ও ইউনিয়ন শাখা এবং সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি, পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফোরাম ও গিরিসুর শিল্পীগোষ্ঠীর সাড়ে চার শতাধিক প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক যোগ দেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরকারী সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোর যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে চলে যাওয়ার কারণে চরম ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদারসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়নের ব্যবস্থা, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা দ্রুত প্রণয়নের জন্য সরকারকে চাপে রাখা, প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তুদের নিজেদের জায়গা-জমি প্রত্যর্পণ করে যথাযথ পুনর্বাসন, অপারেশন উত্তরণ নামক সেনাশাসন বাতিল করে সেনা, আনসার, এপিবি ও ভিডিপির সব অস্থায়ী ক্যাম্প চুক্তি মোতাবেক প্রত্যাহারের উদ্যোগ, প্রত্যাহার করা জায়গায় পার্বত্য চুক্তিকে লঙ্ঘন করে এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশ (স্থানীয়), বন ও পরিবেশসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরযোগ্য বিষয়গুলো কার্যকর করা, তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় পুলিশবাহিনী গঠনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, ভূমি ব্যবস্থাপনার বিধানাবলি প্রণয়ন করে ভূমিহীনদের ভূমি বন্দোবস্তর মাধ্যমে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়াসহ সরকারের কাছে তুলে ধরতে ১৮ দফা প্রস্তাবনা গৃহীত হয়।