বিএনপির রাজনীতির কবর রচিত হয়ে গেছে: কাদের মির্জা
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৩, ১০:২৯ পিএম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি এবং আন্দোলন নিষ্ফল, তা জনগণ বুঝে গেছে। ওদের রাজনীতির কবর রচিত হয়ে গেছে। তারেক জিয়া টাকার বড়াই দেখায় তার বাবার (জিয়াউর রহমান) মতো। আপনারা খবর নিয়ে দেখেন, যারা যারা টাকা দিত তারা এখন বুঝতে পেরে বিএনপি নেতা তারেককে শনিবার থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা বুঝে গেছেন তারেক জিয়াকে টাকা দিয়ে আর কোনো লাভ নাই। টাকার রাজনীতি তার শেষ।
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী চক্রান্ত, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি উপলক্ষ্যে রোববার বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বসুরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিলের পূর্বে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান আন্দোলন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতে নিজেরাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, তাদের কর্মসূচি ছিল এক জায়গায়, আর সন্ত্রাস, গাড়ি ভাংচুর করেছে আরেক জায়গায়। এসব নাটক এখন জনগণ বুঝে গেছে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জানতে পেরে তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন, ফল-ফলাদি পাঠিয়েছেন। এজন্য সারা দেশ নয়, বিশ্বব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক নেত্রী হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, মো. ইউনুছ, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর প্রমুখ।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে কাদের মির্জা বলেন, আপনারা মনে করছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন মানে সিল মেরে বাক্স পুরবেন। এ আশা এবং মানসিকতা নিয়ে আছেন? এবার সেটা হবে না। সংবিধান অনুযায়ী যে নির্বাচন হবে, সে নির্বাচনে আমরা ওবায়দুল কাদেরকে ফেয়ার ভোটে নির্বাচিত করতে চাই।
তিনি বলেন, বিএনপি ভোটে আসলে আসুক, না আসলে কিছুই হবে না। সাংবিধানিক ধারা রক্ষার্থে সে অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। দেশে এখন পাগল-ছাগলও নির্বাচনে আসে। কোথাকার হিরো আলম, তার পক্ষে বিদেশি কূটনীতিকরা বিবৃতি দেয়।
প্রশ্ন রেখে কাদের মির্জা বলেন, এরা কিসের কূটনীতিক। এদের কোনো জ্ঞান-ধ্যান আছে, কার বিষয়ে কী বিবৃতি দেয়। আমাদের দেশের কিছু লোক এই পাগলের (হিরো আলম) সঙ্গে আছে। ওরা শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে না, আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করার জন্য বিবৃতি দেয়। এরাই তো (আমেরিকা) ৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।
মাঠের বিরোধী দল বিএনপির সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসনা মওদুদের পেছনে হেঁটে লাভ নেই। তিনি খুব শক্ত, তার কাছে টাকাপয়সাও নেই। ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা-পয়সা যা নেবার নিয়ে নেন। টাকা নিয়ে বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকবেন। সেগুলোও আমাদের টাকা। ফখরুল ইসলাম লুটপাট করে ধনী হয়েছেন, ফারইস্ট ইন্স্যুরেন্স পুরোটাই খেয়ে ফেলেছেন।