Logo
Logo
×

সারাদেশ

মহম্মদপুরে ১৫ লাখ চাঁদা দাবির অভিযোগ, না দিলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি

Icon

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০২:১৯ এএম

মহম্মদপুরে ১৫ লাখ চাঁদা দাবির অভিযোগ, না দিলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি

মাগুরা মহম্মদপুরে লুৎফর রহমান বিশ্বাস (৭০) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবি ও চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের গোবরনাদা গ্রামের ফেরদৌস নাম এক সেনাবাহিনীর সদস্যের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছেন। লুৎফর রহমান বিশ্বাস উপজেলার কলমধারী গ্রামের মৃত মোক্তাদুল বিশ্বাসের ছেলে। এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানায় ঐ সেনা সদস্যের মা লিখিত একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সেনা সদস্যের মাতা রোকেয়া বেগম জানান, আমার ছেলে ফেরদৌস সঙ্গে ২০১৬ সালে একই উপজেলার পার্শবর্তী কলমধারী গ্রামের মৃত ওহাব মোল্যার মেয়ে রত্নার বিয়ে হয়। দীর্ঘ আট বছর সংসার করার পরও তদের সংসারে কোন সন্তান জন্ম নেয়নি। রত্নার কোনো সন্তানাদি না হলে রত্নাকে সেনাবাহিনীর সিওম্যাচের ডাক্তার ছাড়াও দেশের অনেক বড় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। তাতেও কোনো ফল না হওয়ায় ফেরদৌস তার স্ত্রী রত্নার মৌখিক অনুমতি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা সদরের শেখপাড়ার জামাল মণ্ডলের মেয়ে বৃষ্টি নামের আরেকজন দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

দুই স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চলমান অবস্থায় রত্নার সঙ্গে তার বাবার বাড়ির এলাকার মৃত মোক্তাদুর বিশ্বাসের ছেলে লুৎফার বিশ্বাসের ছেলে সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লুৎফারের প্ররোচনায় রত্না তার স্বামীর বিরুদ্ধে রংপুর সেনাদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেনাদপ্তরে অভিযোগের পর থেকে লুৎফার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে আসছে। টাকা দিতে অস্বীকার করলেই চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে আসছে। 

তিনি আরও জানান, গত কোরবানি ঈদের কয়েকদিন পরে লুৎফর বিশ্বাস তার ছেলে হুসাইনসহ (২৭) অজ্ঞাতনামা লোক পাঠিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি  করে। টাকা দিব না বলে জানালে বাড়ি ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ৮ মাসের সন্তানকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চান। এ সময় রাজাপুর পুলিশ ক্যাম্পে ফোন করলে পুলিশ আসার খবরে তারা পালিয়ে যায়। 

লুৎফর রহমান বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, লুৎফর রহমান বিশ্বাসের চরিত্র তেমন একটা ভালো না। কারণ সে গত ২০০৯ সালে লোকবীমা লাইফ ইনসুরেন্সে চাকরি করতেন। এক অফিস সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার কারণে তার  চাকরি চলে যায়। 

এ বিষয়ে ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী রত্নার সঙ্গে কথা বলার জন্য তার বাড়িতে গেলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। 

অভিযুক্ত লুৎফার রহমান বিশ্বাস এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো টাকা দাবি করি নাই। রত্নার সঙ্গে আমার কোনো অবৈধ সম্পর্ক নেই। ফেরদৌসের পরিবার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

মহম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বোরহানু উল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম