রাজশাহীতে অ্যাপসের ফাঁদে নিঃস্ব মানুষ, তদন্তের নির্দেশ সাইবার আদালতের
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১০:২৩ পিএম
রাজশাহীতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অ্যাপসের ফাঁদে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন অ্যাপসে বিনিয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রতারণা থেকে মানুষকে রক্ষায় এক আদেশ দিয়েছে রাজশাহীর বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ডিজিটাল প্রতারক চক্রকে শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে রোববার দুপুরে আদালতের শরণাপন্ন হন বিশিষ্ট আইনজীবী জহুরুল ইসলাম। তার আবেদনটি আমলে নিয়ে বিচারক জিয়াউর রহমান সরকারের তিন তদন্তকারী সংস্থাকে যৌথভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম জানান, আগে কোনো মামলায় একটি সংস্থাকে তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু অ্যাপস নিয়ে প্রতারণা করে মানুষকে নিঃস্ব করার ঘটনাটির যৌথ তদন্ত করতে তিন সংস্থাকে আদেশ দিয়েছেন বিচারক। বিচারক রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ, সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) যৌথভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। প্রতিবেদন দাখিল হলে সেই আলোকে পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।
আদেশে বলা হয়েছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রাজপাড়া থানা, সিআইডি ও পিবিআই রাজশাহীর সাইবার বিষয়ে চৌকস একজন করে সাব-ইন্সপেক্টর বা তার উপরের কর্মকর্তার সমন্বয়ে যৌথ তদন্ত দল গঠনের আদেশ দেওয়া হলো। তিন সদস্যের এই যৌথ তদন্ত দল অপরাধ বিষয়ে ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণ, প্রতারক চক্রের অফিস ও অ্যাপস ভিত্তিক প্রতারণা কার্যক্রম বন্ধসহ তদন্ত কর্মকর্তা এর আইনগত সব দায়িত্ব পালন করবে এবং তদন্ত শেষে যৌথভাবে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে বিভিন্ন বিদেশি অ্যাপসে বিনিয়োগ করে শত শত মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি আরও কয়েকটি অ্যাপসের অফিস খুলে অতি মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগ নেওয়া হচ্ছে। আরও প্রতারণা এড়াতে আদালত এমন পদক্ষেপ নিল। এর আগে গত ২২ জুলাই দৈনিক যুগান্তরে ‘রাজশাহীতে বিদেশি অ্যাপসের ফাঁদে সর্বস্বান্ত হাজারও মানুষ’ শিরোনামে একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, অ্যাপসের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রতারণা আগেও হয়েছে। রাজশাহীতে এখনো চলছে। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছেন না, আবার প্রতারক চক্র কিছু সময় গা-ঢাকা দিয়ে আবার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নাগরিকদের সচেতন করতে তিনি মামলাটি করেছেন। আদালতের আদেশটি এ কার্যক্রমটি বন্ধে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।