Logo
Logo
×

সারাদেশ

কথিত বরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, বাবা চাচা মামার বিরুদ্ধে সহায়তার মামলা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ১০:১৭ পিএম

কথিত বরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, বাবা চাচা মামার বিরুদ্ধে সহায়তার মামলা

স্কুলপড়ুয়া নাবালিকা মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কথিত বরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও বাবা চাচা মামার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহায়তা করার মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনি মামলা করেন।

ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ৭ দিনের মধ্য ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ এপ্রিল বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে নিমতলী গ্রামে।

জানা যায়, স্কুলছাত্রীর বাবা, আপন চাচা ও মামা নাবালিকা মেয়েকে প্রতিবেশী বয়স্ক প্রবাসী শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বলের সঙ্গে অর্থের বিনিময় এ বছর ১৪ এপ্রিল মেয়ের অনুমতি ব্যতীত জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। ওই দিনই শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল নাবালিকাকে তার বাড়িতে জোর করে তুলে নেন। ১৪ এপ্রিল হতে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত উজ্জ্বল তার বসত ঘরে বসে নাবালিকাকে আটকিয়ে তার সম্মতি ছাড়াই অসংখ্যবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে নাবালিকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যান।

১২ দিন পরে ২৬ এপ্রিল সকালে নাবালিকা তার মায়ের কাছে ছুটে যান। মায়ের কাছে নাবালিকা অসুস্থ ও প্রবাসীর কাছে আর না পাঠানোর অনুরোধ করেন। এতে নাবালিকার মা-বাবা মেয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বকাঝকা করেন। মেয়েটি কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে আত্মহত্যার চিন্তা করতে থাকেন।

একপর্যায়ে স্কুলে যাবার কথা বলে নাবালিকা বাবার ঘর থেকে ২৬ এপ্রিল সকালে বের হন। পথে সুমাইয়ার সঙ্গে দেখা হয়। সুমাইয়া নারীদের নিয়ে কাজ করেন, তিনি বিথীর কাছে বরগুনা নিয়ে আসেন। আরেক নারী কর্মী মমতাজ স্কুলছাত্রীকে আশ্রয় দেন।

স্কুলছাত্রী বলেন, আমার বাবা দুই লাখ টাকার বিনিময় সিঙ্গাপুর প্রবাসী শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বলের কাছে স্থানীয় মাওলানার মাধ্যমে আমাকে বিয়ে দেন। আমার বাবা, চাচা ও মামা সবাই টাকা খেয়েছেন। আমাকে উজ্জ্বল জোর করে অসংখ্যবার ধর্ষণ করেছেন। আমি অসুস্থ হয়ে মায়ের কাছে এসেও আশ্রয় পাইনি। আমি পড়াশুনা করতে চাই। উজ্জ্বলের হাত থেকে বাঁচতে চাই। আমার বয়স ১৬ বছর ৫ মাস। আমি দশম শ্রেণিতে পড়াশুনা করি।

স্কুলছাত্রী আরও বলেন, আমি বিথীর নিকট আছি। উজ্জ্বলের মোবাইল দিয়ে আমার অশ্লীল ছবি তুলে রেখেছে। ওই ছবি দিয়ে আমার ক্ষতি করতে পারে।

নাবালিকার বাবা যুগান্তরকে বলেন, মেয়ে যে অভিযোগে মামলা করেছে তা সত্যি নয়। আমার মেয়েকে সাহাবুদ্দিন হৃদয় নামের একটি ছেলে অপহরণ করে নিয়েছে। আমি ওই ছেলের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছি।

নাবালিকা মেয়েকে কিভাবে বিয়ে দিলেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েকে বিয়ে দেইনি। কথাবার্তা হয়েছিল।

নাবালিকা মেয়ে বাবার জবাবে বলেন, আমার কাছে উজ্জ্বলের ও আমার যুগল ছবি আছে।

উজ্জ্বলের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

বরগুনা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বশির আলম যুগান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত কোর্টের আদেশ পাইনি। আদেশ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম