প্রেমের টানে সুজানগরে মালয়েশিয়ান তরুণী নুর শাহিদা
সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৬:২১ পিএম
প্রেমের টানে প্রায় আড়াই হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে পাবনার সুজানগরে প্রেমিক রায়হান মণ্ডলের কাছে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী নুর শাহিদা (২৬)। তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর শহরের মোহাম্মদ চিমার উদ্দিনের মেয়ে।
প্রেমিক রায়হান মণ্ডল পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া নতুনপাড়া গ্রামের মো. সামাদ মণ্ডলের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, মালয়েশিয়ান তরুণী আসার খবর গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাকে দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমান উৎসুক মানুষ। গত রোববার এক মাসের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী। পরে সোমবার প্রেমিক রায়হানের নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন।
এ ব্যাপারে রায়হান মণ্ডল বলেন, সাত বছর আগে আমি মালয়েশিয়া যাই। মালয়েশিয়ায় থাকার সুবাদে সেখানে পরিচয় হয় মালয়েশিয়ান তরুণী নুর শাহিদার সঙ্গে। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। আমাদের দীর্ঘ প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক। সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশে আসার পর গত সোমবার আমার গ্রামের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়ার তারাবাড়িয়া নতুনপাড়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় এক লাখ টাকা। কিছুদিন পর আমরা দুজনই আবার মালয়েশিয়ায় যাব।
স্থানীয় সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেত বাচ্চু জানান, প্রেম মানে না শাসন-বারণ। প্রেমানুভূতির নেই কোনো সীমানা। সাত সাগর তেরো নদী পেরিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার মিলনেই যেন সার্থকতা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন মালয়েশিয়ান তরুণী নুর শাহিদা।
ভাঙা ভাঙা বাংলায় মালয়েশিয়ান তরুণী নুর শাহিদা বলেন, রায়হান আমাকে ভালোবাসে, আমিও রায়হানকে ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে আমি আমার পরিবার ও রায়হানের পরিবারের সম্মতিতে সোমবার দুজন বিয়ে করেছি। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এখনাকার সবাই ভালো ও আন্তরিক। রায়হানের পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্য ভাই ও বোনেরাও আমাকে আপন করে নিয়েছেন। আমরা যেন সুখী হতে পারি এজন্য সবার কাছে দোয়া চান মালয়েশিয়ান তরুণী নুর শাহিদা।
রায়হান মণ্ডলের পিতা সামাদ মণ্ডল বলেন, আমার ছেলের স্ত্রী ভালোমনের মানুষ। আমাদের পরিবার ও আগত মানুষজনের সঙ্গে সহজেই মিশে গেছেন।
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, এটা আমার উপজেলার ঘটনা। লোকমুখে শুনেছি। তবে সরাসরি দেখা হয়নি।