পটুয়াখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা, আহত ১০
যুগান্তর প্রতিবেদন, রাঙ্গাবালী ও পায়রাবন্দর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১০:০২ পিএম
পটুয়াখালীতে নির্মাণাধীণ ১৩২০ মেগাওয়াট আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেতন নিয়ে বাঙালি শ্রমিক ও চায়নাদের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে সোমবার কয়েক দফায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আমরা আছি এখানে। অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সমঝোতার চেষ্টা চলতেছে।
জানা গেছে, শ্রমিকদের বেতন কমানোর ঘোষণা নিয়ে সোমবার সকালে এ অসন্তোষ শুরু হয়। তারা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে না নেওয়ার কারণে শ্রমিকরা প্রথমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ম্যানপাওয়ার নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন ও নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে শ্রকিমকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কয়েকজন চায়না নাগরিক ও বাঙালি শ্রমিকও আহত হন। আহত বাঙালি শ্রমিকদের দাবি- তাদের ওপর পালটা হামলায় আহত হয়েছেন তারা।
সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিকদের হামলার সময়ে অফিস, কেন্টিনের গ্লাস, মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ একাধিক যানবাহন ভাংচুর হয়েছে। এ খবর পেয়ে কলাপাড়া থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই সময় বিদ্রোহী বাঙালি শ্রমিকদের প্রশাসনের সহায়তায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাহিরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আর আহত কয়েকজন শ্রমিককে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী ও বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আলী আহম্মেদ যুগান্তরকে বলেন, আজ (সোমবার) সকালে বেতন দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত এক বস বাঙালি শ্রমিকদের জানান যে, গত মাসে যারা দৈনিক ৮০০ টাকা করে বেতন পেতেন তারা আগামী মাস থেকে পাবেন ৭০০ করে। আর যারা ৭০০ করে পেতেন তারা পাবেন ৬০০ টাকা করে। ১০০ টাকা করে বেতন কম পাবেন। এতে যদি আপনারা থাকেন থাকবেন, তা না হলে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, এ কথা জানানোর পর শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ শুরু হয়। ম্যানপাওয়ার নিয়োগের দায়িত্ব নিয়োজিত লোকজন এসে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাদেরও মারধর করেন শ্রমিকরা। চায়নাদেরও মারধর করতে চেয়েছে, পারেনি। পরে ৭-৮শ শ্রমিক এক হয়ে চায়নাদের অফিস, ক্যান্টিন ও দুইটি গাড়ি ইটপাটকেল মেরে ভাংচুর করেছে। এখানে পাল্টাপাল্টি কোন মারামারি হয়নি। শুনেছি দেয়াল টপকে যাওয়ার সময় হয়তো ৪ জন বাঙালি শ্রমিক আহত হয়েছেন। আর ৩ জন চায়না শ্রমিক সামান্য জখম হয়েছেন।