রুমা ও থানচিতে ৪ মাস পর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:১৮ পিএম
ফাইল ছবি
পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় জেলা বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। টানা চার মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলা দুটি ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে এর আগের চার মাসেও বিভিন্ন সময়ে এ দুই উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় গত বছরের ২২ অক্টোবর রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর কয়েক দফায় তা বাড়ানো হয়। সবশেষ এ বছরের ১৬ মার্চ থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। শুক্রবার রুমা ও থানচি খুলে দেওয়া হলেও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তৎপরতা এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় রোয়াংছড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা রুমার কিংবদন্তি বগালেক, রিজুক ঝর্ণা, জাদীপাই, তিনাপ সাইতার, দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং, ক্যাওক্রাডং এবং থানচির আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট তমাতুঙ্গী, রেমাক্রী, তীন্দু, বড়পাথর, নাফাখুম, অমিয়খুম, বাকলাই ঝর্ণা, আন্ধারমানিক, বড়মদক ও ছোটমদকসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
ট্যুরিস্ট পরিবহণ শ্রমিকনেতা মো. কামাল ও সুমন ভট্টাচার্য বলেন, রুমা এবং থানচি খুলে দেওয়ায় পরিবহণ শ্রমিকদের মাঝেও স্বস্তি ফিরেছে। নিষেধাজ্ঞায় পর্যটক না আসায় শ্রমিকরা অর্থনৈতিক কষ্টে পড়ে যান। অনেকে ঠিকমতো দুবেলা খেতে পারেননি, ঘরভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে পর্যটকদের সমাগম বাড়লে শ্রমিকদের দুঃখকষ্ট লাঘব হবে।
বান্দরবান হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের খবর। নিষেধাজ্ঞা আতঙ্কে ঈদের ছুটিতেও পর্যটকের আশানুরূপ আগমন ঘটেনি বান্দরবানে। তবে এখন পর্যটকরা আবারও বান্দরবান ভ্রমণে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
এ ব্যাপারে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রুমা ও থানচি ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হলো। তবে রোয়াংছড়িতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। রোয়াংছড়ি ছাড়া জেলার বাকি ছয়টি উপজেলায় পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন।