নুরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে লাকসামে কুরআন খতম
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৬:১৭ পিএম
ছবি-যুগান্তর
যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লাকসাম উপজেলায় কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লাকসাম পৌরসভার জামিয়া দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি এমএ মান্নানের আয়োজন ও সঞ্চালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন- লাকসাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস, প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান স্বপন এবং লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন।
এ সময় তারা বলেন, মেধা, সততা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার সঙ্গে একে একে ৪১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন নুরুল ইসলাম। তার মালিকানাধীন যমুনা ফিউচার পার্ক এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিংমল। এছাড়া যমুনা ইলেট্রনিক্স, দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ তালিকায়। সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান। দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ এই কণ্ঠস্বর আজীবন নির্দ্বিধায় কালোকে কালো ও সাদাকে সাদা বলে গেছেন।
আলোচনা শেষে কুরআনখানি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন দৌলতগঞ্জ রেল স্টেশন মসজিদের খতিব মাওলানা মো. জাকির হোসেন সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম, কান্দিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, পৌরসভার কাউন্সিলর আবু সায়েদ বাচ্চু, থানার পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন, জামিয়া দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন, সাপ্তাহিক লাকসাম পত্রিকার সম্পাদক নুর উদ্দিন জালাল আজাদ, সাপ্তাহিক কুমিল্লার নির্বাহী সম্পাদক জাফর আহমেদ, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের উপজেলা প্রতিনিধি আবদুর রহিম, দৈনিক গণজাগরণের জেলা প্রতিনিধি সেলিম চৌধুরী হীরা, আজকের কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আবুল খায়ের, সাপ্তাহিক সময়ের দর্পনের স্টাফ রিপোর্টার শাহ নুর আলম, দৈনিক মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি আবদুর রশিদ, দৈনিক প্রথম কথার আদুল জলিল, দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিনের প্রতিনিধি রিয়াদ ভূইয়া, দৈনিক সমাচারের প্রতিনিধি রবিউল হোসেন সবুজ, সিএনএন বাংলা রিপোর্টার মোহাম্মদ জাহিদ, সমাজসেবক জালাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
মোনাজাত শেষে মাদ্রাসার শতাধিক হাফেজ ছাত্র, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়।