Logo
Logo
×

সারাদেশ

পর্নোগ্রাফি মামলায় ২৪ আসামির কারাদণ্ড

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম

পর্নোগ্রাফি মামলায় ২৪ আসামির কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুরে পর্নোগ্রাফি ও কপিরাইট আইনে দায়েরকৃত পৃথক দুইটি মামলায় ২৪ জনের সাড়ে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে পর্নোগ্রাফি আইনে ২৪ জনকেই ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কপিরাইট আইনে ২৪ জনকেই ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। 

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পর্নোগ্রাফি ও কপিরাইট আইনে দুটি পৃথক মামলায় আসামিরা অভিযুক্ত হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২১ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনজন আসামি পলাতক রয়েছে। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. সেলিম, মোখলেছুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম সুজন, রাম কর্মকার, শাহ আলম, মাহিফ আরাফাত, মো. খোকন, রাহাত খান, মাঈন উদ্দিন, মো. বেলাল, মো. সিরাজ, মামুন হোসেন ও মো. সিরাজ।

অন্য মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহিদ হোসেন, জহির আলম ভূঁইয়া, মো. ইব্রাহিম, রথিন সুর, মো. মেজবাহ উদ্দিন, রিয়াজ মাহমুদ, মো. নুরুল আমিন, মো. মাসুম, জয়নাল আবেদীন নিশান, সবুজ হোসেন ও মো. মোস্তফা। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। 

মামলা সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন থেকে লক্ষ্মীপুর পৌর সুপার মার্কেট ও সদর উপজেলার মজু চৌধুরী হাট এলাকায় কম্পিউটারে পর্নো ছবি, বিভিন্ন শিল্পীদের অশ্লীল ভিডিও গান ও সদ্য মুক্তি পাওয়া বাংলা ছায়াছবির কপি রাইটের কাজ করে ব্যবসা পরিচালনা করছিল একটি চক্র। এমন অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই পৃথক অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধারসহ আসামিদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করেন।

পরে র‌্যাব-১১ এর সদস্য এমআর আলম চৌধুরী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এক মামলায় ১১ জন এবং অন্য মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম