ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যায় যুবকের ৪০ বছর কারাদণ্ড
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩, ১০:০৮ পিএম
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অপহরণ করে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় নূরুল আমিন নামের এক যুবককে বিভিন্ন ধারায় মোট ৪০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম এ রায় ঘোষণা করেন।
৪০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূরুল আমিন কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে। আসামি নুরুল আমিন পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১২ সালের ৭ এপ্রিল গয়ড়া গ্রামের এক কিশোরীকে (১৩) অপহরণের পর ধর্ষণ করে নূরুল আমিন (২২) নামের এক যুবক। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে নূরুল আমিন একই সালের ২৮ অক্টোবর ওই কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা করে তার মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে কলারোয়া সীমান্তের হিজলদী চেকপোস্টের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
এদিকে অপহরণের ঘটনার পর দিন ৮ এপ্রিল কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নূরুল আমিনসহ তার সহযোগী আব্দুল জলিল, খলিলুর রহমান, রুহুল আমিন, রিপন হোসেন ও খায়রুল ইসলামকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে কলারোয়া থানার তৎকালীন এসআই গোলাম সরোয়ার ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট সাতক্ষীরার আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণের পর ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে হত্যার ঘটনায় চার্জশিট প্রদান করেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জহুরুল হায়দার বাবু জানান, মামলার এজাহার, পুলিশের দেওয়া চার্জশিট ও আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অপহরণের অভিযোগে নূরুল আমিনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। পৃথক দুইটি দণ্ড একইসঙ্গে চলবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে।
অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।