বাসচাপায় ৫ জন নিহতের ঘটনার জেরে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।রুটটিতে বাস চলাচল নিয়ে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

পূর্ব সিলেটের বৃহত্তর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটি এ ঘোষণা দিয়েছে।তারা বলেছে, আর ওই রুটে বাস চলতে দেওয়া হবে না।

অপরদিকে ওই রুটের বাস মালিক সমিতিও সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে ওই রুটে আর তারা বাস চালাতে যাবেন না। এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য।

রোববার থেকে উভয়পক্ষের এই পালটাপালটি কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় একজন রাজনীতিকের মৃত্যুতে তা শিথিল করা হয়। ফলে সোমবার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। 

১৭ পরগনার সালিশ কমিটির দাবি, ৫ জনকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনার বিচার, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা এবং অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাই না হওয়া পর্যন্ত সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস চলতে দেওয়া হবে না। গত শনিবার রাতে জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রোববার ১৭ পরগনায় এই খবর পাঠানো হয়। জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত বাজার মসজিদে এই বৈঠক হয়। তবে এ ঘোষণা মানবে না সিলেটের পরিবহণ শ্রমিকরা। তারাও দিয়েছেন পালটা কর্মসূচি। ওই রুটে চলবে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল হক বলেন, হঠাৎ কেউ ঘোষণা দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রাখতে পারে না। বিষয়টি প‍্রশাসনকে জানানো হয়েছে। 

তবে সিলেট-তামাবিল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ওই রুটে আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ডেকেছি। আর গাড়ি চলবে না।

১৭ পরগনা সালিশ কমিটির উপদেষ্টা ও জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ যুগান্তরকে বলেন, আমরা ১৭ পরগনা ৫ জনকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনার সুবিচার চেয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এতে সভাপতিত্ব করেন দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার। 

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাসচাপায় ৫ জন নিহত হন।