চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড
যেভাবে মামলার আসামিরাই বাদী-সাক্ষী!
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
নেসারুল হক খোকন
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৩, ০৯:২৩ এএম
![যেভাবে মামলার আসামিরাই বাদী-সাক্ষী!](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/07/09/image-693976-1688876375.jpg)
সুনামগঞ্জের শাল্লায় চাঞ্চল্যকর হেলাল উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামিরাই বাদী ও সাক্ষী হয়েছেন। তাদের প্রতিপক্ষকে করা হয়েছে আসামি। অন্যদিকে এ মামলার বিষয়ে নিহতের দুই বোন কিছুই জানেন না। তবে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বাদী ও সাক্ষীরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধান, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার দুর্গম গ্রাম সাতপাড়া বাজার। ২৭ জুন ওমর ফারুক নামে একজনের জমি দখলে বাধা দিতে গেলে এলাকার চিহ্নিত অপরাধী নিজাম উদ্দিনসহ তার বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালায়।
এতে জমির মালিকের আত্মীয় হাবিবুর রহমান নামে একজন সাবেক ইউপি মেম্বার বুকে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল পুলিশের একটি দল। কিন্তু তারা এলাকার একটি প্রভাবশালী গ্রুপের দ্বারা প্রভাবিত হন। যে কারণে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ব্যর্থ হয়।
অথচ হাবিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিজাম ও তার ছেলেদের যদি আটক করা হতো, তাহলে এই হতাহতের ঘটনা এড়ানো যেত। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলে হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন না। অথচ একই ঘটনার তারিখ ও সময় উল্লেখ করে সংঘর্ষে হেলাল নিহত হয়েছেন বলে আরেকটি মামলা হয়। এই মামলার বাদী হয়েছেন নিজাম উদ্দিনের মেয়ে মিনারা বেগম।
ভাই-বোন ও বাবা থাকাবস্থায় মামলার বাদী মিনারা কেন জানতে চাইলে নিহত হেলালের বড় বোন হাজেরা বেগম যগান্তরকে বলেন, ‘হেলালকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, এর কিছুই জানি না। ক্ষোভে-দুঃখে ভাইয়ের লাশ ওই এলাকায়ই রাখিনি। তাকে দাফন করা হয়েছে অন্য গ্রামে।’
তিনি বলেন, ‘মামলার বিষয় নিয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনিও বলেছেন কিছুই জানেন না। এর মধ্যেই হাবিব হত্যা মামলায় বাবা ও আরেক ভাইকেও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এখন কী হবে জানি না।’
ইউপি চেয়ারম্যান যা বললেন : শাল্লা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাত্তার মিয়া যুগান্তরকে বলেন, সাতপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও আলোচ্য জমির মালিক ওমর ফারুকের বড় ভাই মুজিবুর রহমান ২৭ জুন একজন লোক পাঠান শাল্লা সদরে। তাকে জানানো হয় সাতপাড়া বাজারে তার জমি দখলের চেষ্টা করছে চিহ্নিত অপরাধী নিজামসহ তার ছেলে নিকসন। তিনি অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানোর বিষয়ে সাহায্য চেয়েছেন।
এ কথাবার্তার মধ্যেই মোবাইল ফোনে খবর আসে মারামারি শুরু হয়ে গেছে। তখন তিনি থানার ওসি আমিনুল ইসলামকে বিষয়টি জানান। এরপর ওসিসহ ৮/১০ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে যখন সাতপাড়া বাজারে আসেন, তখন বেলা পৌনে ১২টা বাজে। তখনও থমথমে অবস্থা। বাজারে ওসিসহ তিনি দেখেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের এসআই আলীম উদ্দিনের নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।
তিনি বলেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনাকে কে মেরেছে? থানার ওসির সামনেই তিনি বললেন, নিকসন মিয়ার (নিজামের ছেলে) লোকেরা মেরেছে। বাজারের দিকে এগিয়ে যেতেই জানলাম হাবিব (নিহত ইউপি সদস্য) বুকে টেঁটাবিদ্ধ। তাকেসহ আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে।
হাসপাতালে যাওয়ার আগেই হাবিব মারা যান। তখন জানলাম গুরুতর আহতদের মধ্যে হাবিব একাই।’
তিনি বলেন, কয়েক ঘণ্টা পর জানলাম হেলাল নামে একটা লোক মারা গেছেন। তখন আশ্চর্য হয়ে গেলাম। বললাম, এই পক্ষের তো কোনো লোককে সেভাবে আহত হতে দেখলাম না, মার্ডার হয়ে গেল কীভাবে? এ সময় ওসির সামনেই আরেকজন বললেন, আরে কী বলে, এক ঘণ্টা আগে দেখলাম
হেলাল সুস্থভাবে বাজারের সামনে দিয়ে হেঁটে গেল। মার্ডার হলো কেমনে? আরও ৪/৫ জন একই কথা বলল।
তখন আমি ওসি সাহেবকে বললাম তাদের কথাটা নেন। ওসি সাহেব মোবাইল ফোনে তার ছবিও নিলেন।
সাত্তার মিয়া বলেন, এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই আমার কাছে মুখ খুলতে শুরু করেন।
হাবিব মারা গেছেন শুনে সাতপাড়া বাজার থেকে বলরামপুরের প্রণয় সরকারের নৌকা জোর করেই নিয়ে বেড়িবাঁধের দিকে পালিয়ে যায় নিকসনসহ ৮/১০ জন। সেখানে গিয়ে এই নৌকার চালক দেখেন আরেকটি নৌকায় বসা ছিলেন সন্ত্রাসী নিজাম, তার আরও দুই ছেলেসহ ৭/৮ জন। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষমাণ ওই নৌকায়ই ছিলেন নিহত এই হেলাল উদ্দিন।
বেড়িবাঁধ থেকে নিকসনের নৌকা চলে যায় দিরাই উপজেলার মিলনগঞ্জ বাজারে। আর হেলাল যে নৌকায় বসা ছিল, সেটি নিয়ে সন্ত্রাসী নিজাম চলে যায় কিশোরগঞ্জের ইটনার হাওড় চৈতন্যপুরের দিকে। চৈতন্যপুরের হাওড় থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় হেলালের মরদেহ নিয়ে যে স্পিডবোটে শাল্লা হাসপাতালে আনা হয়, সেই চালকের সঙ্গেও কথা হয় ইউপি চেয়ারম্যানের।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্পিডবোটচালক নুরুল আমিন তাকে জানিয়েছেন, তিনি লাশ আনতে যাওয়ার পথে দুজন মহিলাকে কার্তিকপুর গ্রাম থেকে চৈতন্যপুর নিয়ে যান। এ দুই মহিলাসহ হেলালের মরদেহ নিয়ে আসেন শাল্লা সদর হাসপাতালে। এ সময় ওই নৌকায় ৬/৭ জনকে দেখেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি শতভাগ নিশ্চিত হেলালকে ওই নৌকার মধ্যেই মারা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, হেলালের বাবা, ভাই ও দুই বোন থাকা সত্ত্বেও বাদী হয়েছেন চাচাতো বোন পরিচয়ে মিনারা বেগম (নিজামের মেয়ে)। কিন্তু কেন?
পুলিশ কীভাবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এই মামলা নিয়েছে জানতে চাইলে সাত্তার মিয়া বলেন, ‘পুলিশ হয়তো এই মামলা নিতে বাধ্য হয়েছে। আইনত সুরতহাল রিপোর্টই তো শাল্লা থানার পুলিশ করতে পারে না। কারণ, লাশ শাল্লা হাসপাতালে আনা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার হাওড় থেকে। এই মরদেহ তো ইটনায় যাওয়ার কথা। এটা ইটনায় সুরতহাল হয়ে কিশোরগঞ্জে পোস্টমর্টেম হওয়ার কথা। জমির মালিকের ভাই যে মুজিব হামলার আশঙ্কা করে পুলিশের সাহায্য চেয়েছে, তাকেই পুলিশ গ্রেফতার করায় আমি শঙ্কিত।
এভাবে অপরাধীরা পুলিশের সহযোগিতা পেলে মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে।
ঘটনাস্থলেই ছিলেন না হেলাল : ২৭ জুন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না এই হেলাল। তিনি এলাকায় ফিরেছেন সংঘর্ষ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসারও প্রায় দুই ঘণ্টা পর। হেলালকে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে যে নৌকায় সাতপাড়া বাজারসংলগ্ন বাঁধে নামিয়ে দেন, সেই নৌকার চালক তোফাজ্জলের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক।
শাল্লার মুরাদপুর গ্রামের বাসিন্দা নৌকাচালক তোফাজ্জল বলেন, ‘আমি ২৭ জুন সকাল ৭টার দিকে শাল্লার মধুপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে ছোট ইঞ্জিনের নৌকায় হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে যাই জাল কিনতে। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেলাল উদ্দিন ফেরার সময় তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করে। বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে সাতপাড়া বাজারসংলগ্ন পিআইসির হাওড়রক্ষা বাঁধে তাকে নামিয়ে দিয়ে বাড়িতে এসে শুনি বাজারে মারামারি হয়েছে। এরপর সেখানে কৌতূহলবশত যাই।
বাজারে এসে দেখি পুলিশ লোকজনকে লাঠিপেটা করছে। আর সন্ধ্যায় হেলালকে সকালের সংঘর্ষে খুন করার কথা শুনে অনেকটা হতভম্ব হই। ঘটনার সময় যে মানুষটা আজমিরীতে ছিল, তাকে আবার খুন করা হলো কীভাবে?
এছাড়া সাতপাড়া বাজারের পল্লিচিকিৎসক অপু চৌধুরী বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত ছিলেন নিহত হাবিব। এছাড়া যারা সামান্য আহত হয়েছেন, পুলিশ সদস্যসহ তাদের প্রত্যেককেই আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। মারামারি ফেরাতে গিয়ে আমি নিজেও ইটের আঘাত পেয়েছি।’
হেলালকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘হেলালকে তো ঘটনাস্থলেই দেখিনি। সন্ধ্যার পর শুনেছি হেলাল মারা গেছে। হত্যার কথা শুনে অবাকই হয়েছি। সে যেখানে উপস্থিতই ছিল না, তাকে আবার কীভাবে হত্যা করা হলো?’
বাজারের বাঁশ বিক্রেতা কার্তিকপুর গ্রামের আউয়াল মিয়া বলেন, নিজাম উদ্দিনসহ জমি দখলকারীরা মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে হেলাল মিয়াকে নিজেরা হত্যা করে মামলা দিয়েছে মর্মে জানতে পারি। কারণ, মারামারির অন্তত দুই ঘণ্টা পর বলতে শুনেছি, ‘আমি থাকলে অন্তত কয়েকজনকে খুন করে ফেলতাম।’ এ কথা বলতে বলতে আমার সামনে দিয়েই আদিত্যপুরের দিকে চলে যায় হেলাল। মুরাদপুরের রাখাল সরকার বলেন, মারামারির দুই ঘণ্টা পর হেলালকে সুস্থ অবস্থায় দেখেছি।
সুরতহাল ও এজাহারে যা আছে : তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, হেলালের লাশ ২৭ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটে সদর হাসপাতালে সুরতহাল প্রস্তুত করেন শাল্লা থানার এসআই অভিজিৎ সিংহ। তিনি মৃতদেহ প্রাপ্তির স্থান ও পারিপার্শ্বিক বর্ণনার কলামে উল্লেখ করেন চাচাতো বোন মিনারা বেগমের মতে মৃত হেলাল উদ্দিনকে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোতে সুরতহাল করেন।
এছাড়া উপস্থিত সাক্ষীদের কলামে হাবিব হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হোসেন মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগমেরও নাম রয়েছে। লাশ বহনকারী স্পিডবোটের চালক নুরুল আমিন যে দুজন মহিলাকে কার্তিকপুর গ্রাম থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন, তারাই এই দুজন।
এই মিনারা বেগমকে বাদী করে পুলিশ হেলাল হত্যা মামলা নথিভুক্ত করে ঘটনার তিন দিন পর অর্থাৎ ৩০ জুন রাত ১২টা ১৫ মিনিটে। মামলায় এলাকার চিহ্নিত অপরাধী মিনারার বাবা, ভাইসহ যাদের সাক্ষী করা হয়েছে, মূলত তারাই এই হত্যাকাণ্ডের আসামি হওয়ার কথা।
যার জমি দখল করতে যাওয়ায় পর পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন, সেই মুজিবুর রহমানকেই প্রধান আসামি করা হয়। ঘটনার তারিখ-সময় উল্লেখ করা হয়-২৭ জুন, সকাল ১১টা, সাতপাড়া বাজার মৎস্য আড়তের সামনে।
সেখানে সংঘর্ষের বিস্তারিত বিবরণের এক স্থানে বলা হয়, ‘হেলাল মিয়া মারামারি ফেরানোর জন্য এগিয়ে আসে। এ সময় মুজিবুর রহমান তার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে মাথার মধ্যস্থলে জখম করে। সঙ্গে আলমগীর হোসেন ওরফে সেলিম মিয়া রামদা দিয়ে কোপ মেরে হেলালের ওপর ডান সাইডে রক্তাক্ত জখম করে।
মান্নান মিয়া ঘাড়ে, রাজিব মিয়া ডান হাতের কনুইয়ের নিচে রামদা দিয়ে কোপালে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। এরপর তাকে কয়েকজন গলা চেপে হত্যার চেষ্টাসহ কয়েকজন লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। এজাহারে আহত আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর ‘হেলালের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মদন হয়ে ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে খালিয়াজুরির হাওড়ে যাওয়ামাত্রই মারা যায়।’
ডিআইজির বক্তব্য : রহস্যজনক এই হত্যা মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি নিজস্ব ব্যবস্থায় বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। এখানে রহস্যের কিছু নেই। প্রয়োজনে পুলিশের ভিন্ন ইউনিট এই মামলা তদন্ত করবে। আমরা প্রকৃত হত্যাকারীদের বের করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।’
মোট তিন মামলা : ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২৭ জুনের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাল্লা থানায় তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে সাবেক ইউপি মেম্বার হাবিব হত্যা মামলার বাদী হয়েছেন নিহতের স্ত্রী মিনা বেগম। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৬ জনকে। মামলাটি রেকর্ড হয় ২৮ জুন বিকাল পৌনে ৫টার দিকে।
হেলাল হত্যা মামলার বাদী হয়েছেন এলাকার ত্রাস ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নিজাম উদ্দিনের মেয়ে মিনারা বেগম। মামলাটি রেকর্ড হয় ৩০ জুন রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এবং পুলিশ এসল্ট মামলাটি হয় ২৮ জুন। এ মামলার বাদী শাল্লা থানার এএসআই রাজিব কুমার দে।
শাল্লা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সব শঙ্কা বিবেচনায় নিয়েই মামলার তদন্ত হচ্ছে। খুনিরা পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।