‘বেশি দামে এলপিজি বিক্রি করলে ব্যবস্থা’
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১১:০০ পিএম
ভোক্তাপর্যায়ে সরকারের নির্ধারিত মূল্যেরে চেয়ে বেশি দামে বোতলজাতকৃত এলপিজি গ্যাস বিক্রি করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে মানিকগঞ্জ শহরে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরাবাজারে সরকার নির্ধারিত দামে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে কিনা তা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।
বিইআরসির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন বলেন, সব কোম্পানির ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম সরকার ভোক্তাপর্যায়ে নির্ধারণ করেছে ৯৯৯ টাকা। তবে মানিকগঞ্জে খুচরা পর্যায়ে ১ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। কোনো কোনো কোম্পানির সিলিন্ডার গ্যাস ৯৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রমাণ হিসেবে চালানের রশিদসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন। ভোক্তাদের কাছ থেকে এলপিজির বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ নেই। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বাড়তি দামে যেন তা বিক্রি করতে না পারে এজন্য জেলা প্রশাসক ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে পত্র দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশকদের কাছে কোম্পানিগুলো বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, কোম্পানি এবং পরিবেশকদের নিয়ে সভা করে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার এলপিজির যে দাম নির্ধারণ করেছে কোম্পানিগুলোও তা মানতে বাধ্য। এ নিয়ে উচ্চআদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। যে কোম্পানিগুলো এই নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিইআরসির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন আরও বলেন, এলপিজি গ্যাসের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এটা বিইআরসি করে দেয়নি। সব কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করেই এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সানোয়ারুল হক, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।