Logo
Logo
×

সারাদেশ

নামের মিলে ভুল ওয়ারেন্টে হয়রানির শিকার যুবক অবশেষে মুক্ত

Icon

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৩, ০৫:১৯ পিএম

নামের মিলে ভুল ওয়ারেন্টে হয়রানির শিকার যুবক অবশেষে মুক্ত

ডাকাতি মামলায় অভিযুক্ত আসামির মালামাল জব্দের সময় একই বাড়ির লোক হিসেবে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে পুলিশ তার নাম লিপিবদ্ধ করে। প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বের ওই ডাকাতির মামলার নামের মিলে আসামি হিসেবে ওয়ারেন্ট আসে সাক্ষী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।

পুলিশ ওই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে সোমবার তাকে আটক করে। ওয়ারেন্ট অনুযায়ী তাকে আদালতে পাঠায়। পরে আদালতের বিচারক বিষয়টি দ্রুত যাচাই বাছাই করে আটক ব্যক্তি আসামি নন বলে নিশ্চিত হয়ে তাকে মুক্তি দেন। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালি গ্রামের।

জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই মামলার চার্জশিট ভুক্ত ৩নং আসামি আব্দুর রহমান বেপারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান আসামি পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালি গ্রামে সামছুল হকের ছেলে আ. কাদির।

অন্যদিকে আদালত থেকে ওয়ারেন্ট আসে পূর্ব বড়ালি গ্রামের ফজল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেনের নামে। শুধুমাত্র নামের মিলের কারণে ডাকাতির মামলার পলাতক আনোয়ার হোসেনের পরিবর্তে ওয়ারেন্ট আসে সাক্ষী আনোয়ার হোসেনের নামে। মামলার চার্জশীট ও মালামাল উদ্ধারের নথিপত্রে উভয় আনোয়ার হোসেনের সব তথ্য উল্লেখ রয়েছে।

বুধবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এসে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পৌর এলাকার পূর্ববড়ালি গ্রামের তার বাড়ির জনৈক ডাকাতি মামলার অভিযুক্ত আ. কাদিরের বসত ঘর থেকে ডাকাতির মালামাল জব্দ করার সময় তাকে একই বাড়ির লোক হওয়ায় সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর নেয়। কিন্তু গত সোমবার (৩ জুলাই) ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে কৌশলে ফরিদগঞ্জ বাজারে ডেকে এনে ওয়ারেন্ট দেখিয়ে আটক করে।

আনোয়ার হোসেন এ সময় পুলিশকে জানান, তিনি ওই ডাকাতির মামলার মালামাল জব্দের সময়কার সাক্ষী। তারই নামে আরেক আনোয়ার হোসেন ওই মামলার অন্যতম আসামি। বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ মামলার কাগজপত্র যাচাই করে নিশ্চিত হন এই আনোয়ার সেই মূল অভিযুক্ত আনোয়ার নন। তারপরও পরদিন মঙ্গলবার ওয়ারেন্ট ভুক্ত হিসেবে আনোয়ার হোসেনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

পরবর্তীতে চাঁদপুর আদালতের জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মহসিনুল হক বিষয়টি যাচাই বাছাই করে তাকে তাৎক্ষণিক মুক্তির আদেশ দেন।

অন্যদিকে ডাকাতি মামলার বাদী মাওলানা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, তার দায়েরকৃত মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন ও ওয়ারেন্ট আসা আনোয়ার হোসেন একই ব্যক্তি নন। তাই বিষয়টি জেনে আদালতে উপস্থিত থেকে আনোয়ার হোসেনকে মুক্ত করতে সহায়তা করেছি।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আ. মান্নান জানান, আদালত থেকে আসা ওয়ারেন্ট তামিল করতে আমরা আনোয়ার হোসেনকে আটক করি। পরবর্তীতে আমরা প্রকৃত ঘটনাটি জানতে পারি। তারপরও তিনি যেন ভবিষ্যতে হয়রানি না হন, সেই জন্য তাকে আদালতে প্রেরণ করি। পরে আদালত নথি যাচাইপূর্বক তাকে মুক্তি দেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম