Logo
Logo
×

সারাদেশ

একই রশিতে ঝুলে ছিলেন মা-মেয়ে

Icon

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম

একই রশিতে ঝুলে ছিলেন মা-মেয়ে

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একই রশিতে ঝুলে ছিলেন মা ও মেয়ে। এছাড়া উপজেলার অন্য একটি এলাকা থেকে আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকার বদরুল আলমের বাড়িতে ভাড়া থাকা জাহিদ হাসানের স্ত্রী সিনথিয়া (২৭) ও তাদের মেয়ে আয়েশা (৩), উপজেলার কাশর এলাকার গৃহবধূ নুরুন্নাহার (৪২) ও উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের বিন্নুরিপাড়ার মাদ্রাসাছাত্র আব্দুল্লাহ (১০)।

ঘটনার পর থেকে স্বামী জাহিদ হাসান পলাতক রয়েছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পারিবারিক কলহের কারণেই মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটতে পারে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জাহিদ হাসান মাগুরা জেলার সদর উপজেলার বাহারপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১৪ বছর পূর্বে একই এলাকার সিনথিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকত। অভাবের তাড়নায় ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকার বদরুল আলমের বাড়িতে ভাড়া থেকে জাহিদ স্থানীয় পিএ নিট টেক্সটাইল মিলে সুপারভাইজার পদে চাকরি করতেন। ঘটনার রাতে জাহিদ বাসায় ছিলেন না।

সকালে জাহিদের স্ত্রী সিনথিয়া ও মেয়ে আয়েশা ঘুম থেকে না ওঠায় প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। এতে কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখেন মা-মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে একই রশিতে ঝুলছেন। খরব পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের স্টিলের দরজা ভেঙে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়। ঘটনার পর থেকেই জাহিদ পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহের কারণেই এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মা ও মেয়ের  লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।

নিহতের ছোট বোন বলেন, আমার বোনজামাই জাহিদ হাসান পরকীয়া করেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত। আমার বোন জামাইয়ের অত্যাচার সইতে না পেরে তার মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন।

এদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার কাশর এলাকার নির্মাণাধীন ভবনের দুইতলার ছাদে ভেজা কাপড় শুকাতে দিতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের তারে লেগে ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে নুরুন্নাহার (৪২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নুরুন্নাহার ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার আব্দুল মালেক মিয়ার স্ত্রী। আব্দুল মালেক সপরিবারে কাশর এলাকায় আব্বাস আলীর বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় এ্যাডভান্স কোম্পানিতে অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের বিন্নুরিপাড়ায় খেলার জন্য বড় ভাই হুজাইফার কাছে ছোট ভাই আব্দুল্লাহ (১০) মোবাইল সেট চায়। হুজাইফা তাকে মোবাইল সেট না দেওয়ায় অভিমান করে আব্দুল্লাহ গলায় গামছা দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দেয়। আব্দুল্লাহ পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলায় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল) আফরোজা নাজনীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণেই মা-মেয়ে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাতে পারে। তদন্ত ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বাকি লাশ দুটি নিহতদের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনাময়নাতদন্তে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম