Logo
Logo
×

সারাদেশ

আমদানির খবরে রাজশাহীতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে আড়াইশ টাকা

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম

আমদানির খবরে রাজশাহীতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে আড়াইশ টাকা

বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানির খবরেই রাজশাহীর বাজারে মরিচের দাম কমেছে আড়াইশ টাকা। একদিনের ব্যবধানেই খুচরা বাজারে মরিচের দাম সাড়ে ৬০০ থেকে ৪০০ টাকায় নেমে এসেছে। সামনে মরিচের দাম আরও কমবে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার নগরীর কাঁচাবাজার ও মোকামগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা। রোববারও ৬০০ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে মরিচের সরবরাহ কম ছিল। তাই দাম তরতর করে বেড়েছিল। এখন সরবরাহ বাড়ছে। দামও কমছে।

নগরীর সাহেববাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, রোববার মরিচ কিনেছি ৫৫০ টাকা কেজি। বিক্রি করেছি ৬০০ টাকায়। সোমবার পাইকারি কিনেছি ৩৫০ টাকা। বিক্রি করব ৪০০ টাকা কেজিতে।

এদিকে কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানিরা খুবই অল্পসংখ্যক মরিচ তুলেছেন। মরিচের বেচাবিক্রিও কম বলে জানাচ্ছেন তারা।

সাহেব বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, এখন মরিচের দামের ঠিক নাই। হুটহাট বাড়ছে, কমছে। তাই তিনি দু-চার কেজি মরিচ নিয়ে আসেন। আর এখন এর বেশি বিক্রিও হচ্ছে না। আর মরিচের আমদানি যেহেতু হয়েছে। মরিচের দাম আরও কমবে।
এদিকে রাজশাহী অঞ্চলে এবার মরিচের উৎপাদনে মাকড় পোকার আক্রমণ ছিল। এ কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব তৈরির শঙ্কা প্রকাশ করেছিলো কৃষি বিভাগ।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার আট উপজেলা ও মহানগরে ৮৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয়েছে বাগমারা উপজেলায়। এখানে ২৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে। আর গোদাগাড়ীতে মরিচের আবাদ হয়েছে ১৯৫ হেক্টর জমিতে।

এছাড়া পবা উপজেলায় ৭০ হেক্টর, দুর্গাপুর উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, মোহনপুর উপজেলায় ৪০ হেক্টর, চারঘাট উপজেলায় ২৫ হেক্টর, পুঠিয়া উপজেলায় ১০০ হেক্টর, বাঘা উপজেলায় ৮০ হেক্টর এবং তানোর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। এছাড়াও শহরের বোয়ালিয়ায় ১৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।

রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, এবার তীব্র তাপদাহ ও পোকামাকড় মরিচ নষ্ট করেছে। এ কারণে মরিচের উৎপাদন কম। তবে এতটাও উৎপাদন কম নয় যে হুট করে দাম বেড়ে যাবে। এটা একটা সিন্ডিকেটের কাজ। এখন আমদানি হয়েছে। বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম