Logo
Logo
×

সারাদেশ

চুপিসারে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় কুরবানির মাংস

Icon

তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) 

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৩, ১০:২৬ পিএম

চুপিসারে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় কুরবানির মাংস

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রতিবছরের মতো এবারো নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে কুরবানির মাংস বিলিয়ে দিয়ে অন্যরকম ঈদ পালন করলো পৌরশহরের সাধুপাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদ ভিত্তিক সমাজ। এবার ওই এলাকার ১৬৬টি পরিবারের মধ্যে এ মাংস বিলিয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার বিকাল পর্যন্তও ওই এলাকায় যারা কুরবানি দিতে পারেননি বা লোকলজ্জার কারণে কারো বাড়িতে বা অন্য কোথাও মাংস আনতে যেতে পারেননি এ ধরনের পরিবার গুলোর তালিকা করা হয় আগ থেকেই। আবার কারো কারো বাড়িতে চুপিসারে গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় কুরবানির মাংস। 

কুরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই চলতে থাকে তালিকা তৈরির কাজ। পরে ঈদের দিন নামাজ শেষে ওই এলাকার বিত্তশালীরা নিজ নিজ কুরবানি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৌরশহরের সাধুপাড়া এলাকার বাইতুল মামুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ওই কাজে নিয়োজিত যুবদের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন কুরবানি না করতে পারা মানুষদের জন্য মাংস। পরে সব মাংস একত্রে করে শুরু হয় প্যাকেট করা। নির্ধারিত তালিকা মোতাবেক চলে বিতরণ। কোনো কোনো সময় ঈদের দিন সব বিতরণ করা সম্ভব না হলেও ঈদের পরের দিন ওই মাংস বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেন এ কাজে নিয়োজিত যুবকরা।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাংস নিতে আসা একজন বলেন, আমি শরিকের মাধ্যমে কুরবানি দিতাম কিন্তু গত দুবছর হলো ব্যবসা করতে গিয়ে টাকা নষ্ট করে ফেলায় আর কুরবানি দেওয়া হয় না। কারো কাছে মাংস চাইতে যেতেও পারি না লোকলজ্জায়। ওই কথা ভেবে লোকচক্ষুর আড়ালেই সাধুপাড়া সমাজের মানুষ এবারো আমার বাড়িতে কুরবানির মাংস পাঠিয়ে দিয়েছে। এ যেন এক অন্যরকম আনন্দ উপভোগ করছি আমি।

এ সময় উদ্যোক্তা ডা. আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, ১৯৯৭ সাল থেকে আমাদের পরিবারের মাধ্যমেই শুরু করেছিলাম এ কাজ। পরবর্তীতে ২০১৬ সন থেকে সাধুপাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদ উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে সামাজিকভাবেই এ কাজ শুরু করে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে বিলিয়ে দেই।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ২০১৬ সাল থেকে সাধুপাড়া সমাজের মাধ্যমে শুরু করেছি এই কাজ। এ সময় সমাজের সব যুবকরা সহায়তা করে থাকে। ঈদের নামাজ শেষে সমাজে কুরবানি দিতে না পারা এমন পরিবারে মাংস বণ্টনের কাজ শুরু করি। প্রতি বছরের মতো এবারো ১৭২ পরিবারের মধ্যে দেওয়া হয়েছে এ মাংস।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রভাষক মাহবুবুল আলম, আব্দুল লতিফ তালুকদার, আব্দুল মতিন ফকির, হাফিজ উদ্দিন সৈয়াল, মো. আমজাদ হোসেন, মো. ফজলুল হক প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম