Logo
Logo
×

সারাদেশ

একই ঈদগাহে নামাজ পড়লেন দুদেশের নাগরিকরা

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৩, ০৪:২৪ পিএম

একই ঈদগাহে নামাজ পড়লেন দুদেশের নাগরিকরা

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ছেদ হয়েছে গ্রামের সীমানা। এক অংশ ভারতে, অপর অংশ বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গ্রামটির নাম দৌলতপুর। যশোরের চৌগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী এই গ্রামে বসবাসকারী সবাই মুসলিম ধর্মাবলম্বী। গ্রামে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া নামে দুটি পাড়া রয়েছে। তারা দুটি দেশের নাগরিক হলেও সামাজিক ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা এক সঙ্গেই করেন। এবারও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন একই ঈদগাহে।

সাত দশক আগে দেশভাগ হলেও তাদের সম্প্রীতির বন্ধনে ছেদ পড়েনি। বরং পরস্পরের মধ্যে বন্ধন অটুট হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় দৌলতপুর গ্রামটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। একটি অংশ বাংলাদেশের যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর মৌজায়। অপর অংশটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাগদা থানার মামাভাগ্নে মৌজায় পড়েছে। এই গ্রামের মানুষ দুটি ভিন্ন দেশের নাগরিক হলেও সেই ৪৭ সাল থেকে সবাই মিলেমিশে বসবাস করছেন। সীমান্তবর্তী দৌলতপুর গ্রামে ভারতীয় অংশে ১৮টি পরিবারের বাসবাস। আর বাংলাদেশের অংশে প্রায় একশ পরিবারের তিন শতাধিক মানুষের বাস। বাংলাদেশ  অংশে ১৯৪৭ সালে একটি মসজিদ এবং ঈদগাহ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর ঈদে বাংলাদেশের এই ঈদগাহে দুই দেশের মানুষ নামাজ আদায় করেন। তাদের মধ্যে বন্ধন অটুট রয়েছে। বৃহস্পতিবার একই ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন দুই দেশের মানুষ।

ইন্ডিয়াপাড়ার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, আমার বাপ-দাদার আমল থেকে এই গ্রামের সবাই মিলেমিশে বসবাস করছি। আমাদের দেশ দুটো হলেও গ্রাম একটি। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নাই। আজ ঈদের নামাজ পড়লাম একই ঈদগাহে। প্রতিবছর আমরা একই ঈদগাহে নামাজ পড়ি। আমাদের মসজিদও একটি।

বাংলাদেশপাড়ার বাসিন্দা মন্টু মিয়া বলেন, দেশভাগের সময় এই গ্রামে অল্প কিছু পরিবারের বসবাস ছিল। পরবর্তী প্রজন্মের সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য পরিবার বেড়েছে। গ্রামের ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশপাড়ার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে মিলেমিশে বসবাস করছেন। অনেকের মধ্যে আত্মীয়তা হয়েছে। এজন্য বন্ধনটা আরও শক্ত হয়েছে। কখনো কোনো বিরোধ হয়নি।

এ বিষয়ে দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও চৌগাছা এসএম হাবিবুর রহমান কলেজের প্রভাষক তাজুল ইসলাম তিতাস বলেন, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই দেশের বাসিন্দারা সম্মিলিতভাবে উদযাপন করছেন বংশ পরম্পরায়। এখানে কোনো বিরোধ নাই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম