ডাকাতি নয়, ভাড়াটিয়া বিলকিসকে হত্যা করেন
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৩, ০৯:২৬ পিএম
![ডাকাতি নয়, ভাড়াটিয়া বিলকিসকে হত্যা করেন](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/06/28/image-690990-1687966011.jpg)
বরগুনার বেতাগীতে গত শুক্রবার বসতঘরে ডাকাতি করে মালামাল লুটের পর ওই ঘরে থাকা তিন সন্তানের মা বিলকিস বেগমকে (৫০) হত্যার ঘটনা ঘটে বলে ধারণা ছিল সবার। তবে ওইদিন বৃদ্ধার বসতঘরে কোনো ডাকাতি হয়নি, বরং ভাড়াটিয়া পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের তদন্তে এসব তথ্য উঠে আসে।
জানা যায়, বৃদ্ধা বাড়িওয়ালীর ঘরের ভাড়াটিয়াই সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তাকে। ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করেন ভাড়াটিয়া ও মামলার প্রধান আসামি মাওলানা আবদুর রহমান জুয়েল।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি শহিদুল ইসলাম খান যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মাওলানা আবদুর রহমান জুয়েলের দেওয়া তথ্য মতে ও ডিবি পুলিশের চেষ্টায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- নিহত বৃদ্ধার একই এলাকার বাসিন্দা হিরু মিয়া ও মাসুদ আলম।
ডিবির ওসি শহিদুল ইসলাম খান জানান, চাকরির সুবাদে বেশ কয়েকবছর যাবত সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করতেন নিহত বিলকিস বেগম। বসতবাড়ি পাহারার নামে অল্প টাকার চুক্তিতে ভাড়া দেন একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুর রহমান জুয়েলের কাছে। তবে এবার ঈদের উদ্দেশ্য বাড়িতে এসে বাড়ির পরিবেশ নোংরা দেখে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এতে ক্ষোভে ও সম্পত্তির লোভে হিরু মিয়া ও মাসুদ আলমকে সঙ্গে নিয়ে বিলকিস বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাওলানা আবদুর রহমান জুয়েল।
তিনি জানান, শুক্রবার গভীর রাতে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কক্ষটি এলোমেলো করে ডাকাতির রূপ দেন। আবার সবাই নিজ ফোন থেকে কল করেন বৃদ্ধার ছেলেকে। সবার সামনে সম্পূর্ণ ঘটনাটিকে একটি নির্মম ডাকাতির নাটক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
এদিকে সাজানো নাটক আর ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের মধ্যে গড়মিল থাকায় সন্দেহ হলে ভাড়াটিয়া জুয়েলকে বরগুনা ডিবি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। সেখান হত্যার স্বীকার করেন তিনি।