পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন দেশের কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।

মঙ্গলবার হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা ঈদে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানানোর পাশাপাশি কারাবন্দিদের মুক্তি ও নতুন মামলা দিয়ে গ্রেফতারি হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগ ও কুরবানির আদর্শে উজ্জীবিত করে জানিয়ে হেফাজত নেতারা বলেন, এবারের ঈদুল আজহায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ দুই বছরের অধিককাল যাবত মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতৃবৃন্দ কারাগারে বন্দি আছেন। অতিসাধারণ মামলায় তাদেরকে দীর্ঘ সময় অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আদালত থেকে জামিন হওয়ার পরও তাদের মুক্তির পথ রুদ্ধ করতে জামিন স্টে করা হচ্ছে। কখনো নতুন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে। কখনো জেলগেট থেকে পুনরায় নতুন মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব হয়রানি কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না।

আলেম উলামার জামিন পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার এমনটা দাবি করে তারা বলেন, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মুফতি নূর হুসাইন নূরানী, মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীসহ সব আলেম উলামার জামিন পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। আজ তাদের মুক্তির পথ রুদ্ধ করার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, আইনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমীর জামিন স্টে এবং মুফতি নূর হুসাইন নূরানী জামিন পাওয়ার পরও মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার একটি পুরোনো মামলায় নতুনভাবে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে; যা চরম অমানবিক। আমরা এ ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। এগুলো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমরা কারাবন্দি মাজলুম আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং আদালত থেকে জামিন হওয়ার পর মামলা স্থগিত করা ও নতুন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।