Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাট কাঁপানো কালোমানিক ‘দেশ সেরা’!

Icon

আতাউল করিম খোকন ও খোরশিদুল আলম মজিব, ময়মনসিংহ থেকে

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩, ১০:০২ পিএম

হাট কাঁপানো কালোমানিক ‘দেশ সেরা’!

কুরবানির ঈদে সবার দৃষ্টি থাকে গরুর দিকে। এবারের কুরবানির ঈদেও আলোচিত সেই গত বছরের হাট কাঁপানো কালোমানিক ষাঁড়টি। কালোমানিকের মালিকের দাবি দুই হাজার দুইশ কেজি ওজনের এ ষাঁড়টি এবার দেশ সেরা। ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানীখোলা দক্ষিণ ভাটিপাড়া গ্রামের আলোচিত কালোমানিকের দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০ লাখ টাকা।

গত কুরবানির ঈদে কালোমানিকের দাম হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। গত তিন বছর ধরে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি কালো মানিক। তাই কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন আরও এক বছর লালন পালন করে এই কুরবানির ঈদে দুই হাজার দুইশ কেজি ওজনের কালো মানিকের দাম হাঁকাচ্ছেন ৪০ লাখ টাকা। মালিকের দাবি ময়মনসিংহ অঞ্চলসহ সারা দেশে সবচেয়ে বড় গরু তার এই কালো মানিক।

জানা যায়, এটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় কালোমানিক। গত ছয় বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের খামারি জাকির হোসেন সুমন। এর ওজন দুই হাজার দুইশ কেজি। 

বিশাল আকারের কালো মানিককে দেখতে ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষ তো বটেই দূর-দূরান্ত থেকেও নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন জাকিরের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। দেখতে আসা অনেকেই এটিকে হাতির সঙ্গে তুলনা করছেন।

কালো মানিককে দেখতে আসা বুলবুল, স্বর্ণা সুলতানা, আতিকুল পাঠান ও মারুফ ইসলাম জানান, গত কয়েক বছর ধরে কালোমানিক ষাঁড়টির কথা শুনতেছি। শুনেছি বিক্রি হয়নি। তাই দেখতে আসছি। দেখে মুগ্ধ, অনেক বড় হয়েছে কালো মানিক। আলোচিত কালোমানিক এবারের ঈদে কার ভাগ্যে জুটে তা দেখার অপেক্ষায়।

কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন জানান, অনেক শখ করে গত ছয় বছর ধরে এই ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি। খাবার হিসেবে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা খরচ হয়। কৃত্রিম কোনো কিছু খাওয়ানো হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে খৈল, ভুষি, ভুট্টা, কলা, ভাত, খড়-ঘাস খাইয়েছি। শখ করে গরুটিকে পালন করেছি। আমি নিজের চেয়েও বেশি গরুর যত্ন নেই। গত কয়েক বছর ধরে ভালো দাম না পাওয়ায় কালো মানিককে বিক্রি করতে পারি নাই। তবে এ বছর আশা করছি ভালো দামে গরুটি বিক্রি করতে পারব।

কালোমানিকের চিকিৎসক কামাল উদ্দিন জানান, আমি কালোমানিককে গত ছয় বছর ধরে চিকিৎসা করে আসছি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে ষাঁড়টিকে। ক্ষতিকর ও মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। তাই ষাঁড়টির মাংসও সুস্বাদু হবে বলে তার দাবি। এটি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা তানজিলা ফেরদৌসি লিমা জানান, এ উপজেলায় কালোমানিক সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। গত ছয় বছর ধরে খামারি এটি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করছেন। কোনো কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার করে নাই। আমরা আশা করছি এবার ষাঁড়টির মালিক ভালো মূল্য পাবেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম