Logo
Logo
×

সারাদেশ

নদ-নদীর পর হাওড়েও পানি বাড়ছে, প্রস্তুত রঙ-বেরঙের নৌযান

Icon

এটিএম নিজাম, কিশোরগঞ্জ ব্যুরো

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম

নদ-নদীর পর হাওড়েও পানি বাড়ছে, প্রস্তুত রঙ-বেরঙের নৌযান

ঈদের ছুটি মানেই ভ্রমণবিলাসী লোকজন নিজে, বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার-পরিবারজনকে নিয়ে বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে গিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর হৈ-হুল্লোড়ের মাধ্যমে স্মৃতিময় নির্ভাবনা সময় কাটানো। আর এমন ছুটিকে সামনে রেখে বরাবরই অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে কিশোরগঞ্জের দৃষ্টিনন্দন হাওড় পর্যটনের অলওয়েদার সড়ক ও সেতুপথ এবং বেড়িবাঁধ ও করচবন এলাকা।

এবারো ঈদুল আজহার বড় ছুটিকে সামনে রেখে রঙ-বেরঙের নৌযান, রিসোর্ট ও খাবার হোটেলগুলোকে সাজানো হয়েছে হাওড়পাড়ে।

অবশ্য এক সপ্তাহ আগেও যখন উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল আর লাগাতার প্রবল বৃষ্টিপাতে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বৃহত্তর হাওড়াঞ্চলের ‘গেটওয়ে’ হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জের ঘোরাউত্রা, ধনু, মেঘনা, কালনী ও ঘোড়াউত্রা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সংযোগ সড়ক তলিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের নদী ঘটের ছয়টি ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। আর তখনো ভরা বর্ষা মৌসুমের শ্রাবণে উন্মুক্ত হাওরাঞ্চলে অস্বাভাবিকভাবে পানি কম আসছিল। মাথায় হাত পড়ার উপক্রম হয় এ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত লোকজনের। 

দীর্ঘদিন ধরে হাওড় পর্যটনের বেড়িবাঁধ ও করচবন এলাকায় স্পিডবোট ভাড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মাসুদ আহমেদের সঙ্গে রোববার দুপুরে হলে হলে তিনি জানান, তিন-চারদিন ধরে নদ-নদীর পাশাপাশি উন্মুক্ত হাওড়াঞ্চলেও বর্ষার পানি বাড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশিতে ভরে উঠবে হাওড় পর্যটন এলাকা। ইতোমধ্যেই স্পিডবোটসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযানগুলোকে পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

জানা গেছে, ২০০০ সালে কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা নিকলী সদরকে বর্ষার প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবল থেকে রক্ষায় সরকার সেখানে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ তৈরি করে। আর তখন ওই বেড়িবাঁধ এবং নিকলী উপজেলার ছাতির চর গ্রাম রক্ষায় গড়ে ওঠা করচবন এলাকা ভরা বর্ষায় পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় উঠে আসে।

২০২০ সালে এ হাওড় পর্যটন এলাকার সঙ্গে হিরণ্ময় পালক হিসেবে যুক্ত হয় হাওড় উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের ওপর দিয়ে সরীসৃপের মতো এঁকেবেঁকে চলা ২৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন অলওয়েদার সড়ক ও সেতুপথ। আর তখন থেকেই যেন দেশ-বিদেশের ভ্রমণবিলাসী ও সৌন্দর্য বিলাসী পর্যটক দল বর্ষা মৌসুমে এ হাওড় পর্যটন এলাকায় আসতে শুরু করেন। প্রতিটি স্পটে রঙ-বেরঙের নৌকা ও স্পিডবোটের আমদানি করে এক শ্রেণির লোকজনও বর্ষা মৌসুমে নতুন জীবিকার সন্ধান পায়। 

বর্ষায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বয়সের হাজারও নারী-পুরুষ পর্যটকদের ঢল নামে এ হাওড় পর্যটন এলাকার বিভিন্ন স্পষ্টে। সরীসৃপের মতো এঁকেবেঁকে চলা দৃষ্টি নন্দন অলওয়েদার সড়ক ও সেতু পথ ঘুরে দিগন্ত বিস্তৃত সাগরের মতো জলরাশির ওপর শাপলার মতো দোল খেতে খেতে ভেসে থাকা গ্রামগঞ্জের অপূর্ব দৃশ্য, স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বেড়িবাঁধ ও করচবন এলাকায় নিশি রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ানো, নৌ-যান নোঙর করে জলকেলিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন পর্যটকরা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম