Logo
Logo
×

সারাদেশ

হীরালালকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুলতান

Icon

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ০১:৪০ এএম

হীরালালকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুলতান

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কালাইকান্দি গ্রামের কৃষক মো. সুলতান শেখ আদর করে জন্মের পর লাল রঙের ষাঁড় গরুটির নাম রেখেছেন ‘হীরালাল’। ইতিমধ্যে বয়স তিন বছর পেরিয়েছে। সামনে কুরবানির ঈদ। হীরালালকে বিক্রি করতে স্থানীয় কয়েকটি হাট-বাজারে নিয়ে গেলেও বিক্রি করতে না পাড়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষক সুলতান শেখ।

এই ষাঁড়টির ওজন এক হাজার দুইশ কেজি বলে দাবি করেন সুলতান শেখ। তার দাবি এবারের কুরবানির ঈদে কলমাকান্দায় আকার ও ওজনে সবচেয়ে বড় ষাঁড় এটিই। তিনি এই ষাঁড়টি সাড়ে আট লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান।

অপরিচিত কেউ এই ষাঁড় গরুটির কাছে ঘেঁষলেই মাথা নাড়ায়। নাক দিয়ে ফোঁসফোঁস আওয়াজ বের করে। ভাবটা এমন, যেন সুযোগ পেলেই সজোরে গুঁতা দিয়ে দেবে। কুরবানির ঈদ সামনে রেখে গরুটি তোলা হয় কলমাকান্দার বিভিন্ন হাট-বাজারে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় আজ শুক্রবার পর্যন্ত গরুটি বিক্রি হয়নি।

ষাঁড় গরুটির মালিক কৃষক মো. সুলতান শেখ জানান, নিজের পালিত গাভী থেকেই এর জন্ম, বয়স তিন বছর পেরিয়েছে। গত রোববার ও বুধবার এ দু’দিন ৮ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে গরুটিকে কলমাকান্দার দুটি হাটে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাজারে বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় তিনি গরুটি বিক্রি করতে পারেননি। তিনি গরুটি বিক্রি করতে চান সাড়ে আট লাখ টাকায়। কিন্তু দাম হয়েছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা।
 
সুলতান শেখ বলেন, হীরালালকে পালা হয়েছে গম-ভুট্টার ভুসি, ছোলা, গুর, খড় ও ঘাস খাইয়ে। প্রতিদিন তার পিছনে খরচ হয় ছয় থেকে সাতশ টাকা। বর্তমানে ষাঁড়টির পেছনে এত টাকা খরচ করা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া গরুটি বেশি নাদুসনুদুস হওয়ার কারণে বার বার হাটে তোলা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবমিলিয়ে যদি কেউ বাড়ি থেকে হীরালালকে কিনতে চান তাহলে দাম একটু কম হলেও তিনি বিক্রি করে দেবেন। না হয় ষাঁড়টি বিক্রি করতে শনিবার রাজধানীর গাবতলীর হাটে নিয়ে যাওয়া হবে।

কলমাকান্দা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কণিকা সরকার যুগান্তরকে বলেন, এবার উপজেলায় ১১ হাজার ৫৮৭টি গবাদিপশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। উপজেলায় কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার ২১১টি। এ হিসাবে উপজেলায় এক হাজার ৩৭৬টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম