Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘রোহিঙ্গা শ্রমিকরা রাজস্ব বাড়াচ্ছে, স্থানীয়রা মাজাভাঙা’

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম

‘রোহিঙ্গা শ্রমিকরা রাজস্ব বাড়াচ্ছে, স্থানীয়রা মাজাভাঙা’

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বহুল আলোচিত-সমালোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদু রহমান বদি বলেছেন, টেকনাফ স্থলবন্দরে কাজ করা রোহিঙ্গারা দেশের রাজস্ব বাড়াচ্ছে। আর বন্দরে যেসব স্থানীয় শ্রমিক রয়েছেন তারা অল্পতেই দুর্বল হয়ে যান। তারা মাজাভাঙা শ্রমিক।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও স্থলবন্দরের আয়োজনে স্থলবন্দরে ব্যবস্থাপনা ও আমদানি সহযোগিতাকরণ সংক্রান্ত জরুরি মতবিনিময় সভা শেষে সাবেক এ সংসদ সদস্য সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ যুক্তি দেখান।

অভিযোগ রয়েছে, টেকনাফ স্থলবন্দরের ৯৫ ভাগ শ্রমিক রোহিঙ্গা। প্রায় ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা টেকনাফ স্থলবন্দরে কাজ করছে। বন্দরের সংশ্লিষ্টরাই কমিশনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের টেকনাফ বন্দরে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিতর্কিত সাবেক এমপি বদির মদদেই রোহিঙ্গারা এই বন্দরে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।

এ কারণে সভায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল স্থলবন্দর রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখলে থাকার এই বিষয়টি। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ক্ষুব্দ হয়ে বদি বলেন, কক্সবাজারের কোথায় রোহিঙ্গা নেই? রোহিঙ্গারা সবখানে কাজ করছে। আপনারা শুধু বন্দরের রোহিঙ্গাদের দেখেন, বাকিগুলো দেখেন না। স্থানীয় শ্রমিকরা বন্দরে কাজ করতে রাজি না, যারা রয়েছেন তারাও শারীরিক দুর্বল। সাংবাদিকরা ৫০ জন করে শ্রমিকের নাম দেন, তাদের এনে বন্দরে নিয়োগ দেব। এরপর রোহিঙ্গা শ্রমিকদের আমি কাজ বন্ধ করে দেব।

টেকনাফ স্থলবন্দরের নাফ গেস্ট হাউজে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

সভায় পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য জাফর আহমদ, টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মতে রোহিঙ্গাদের বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা শ্রমিকদের স্থলবন্দরে কাজ করার সুযোগ নেই।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছি। মিটিংয়ে আলাপ হওয়া সবকিছু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। তবে শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম