নলডাঙ্গা পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ভিজিএফ সুবিধাভোগীদের পেটানোর অভিযোগ
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম
নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল বিতরণের সময় সুবিধাভোগীদের হাতুড়ি ও বাটাম দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভা চত্বরে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গরিব ও দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লাঞ্ছিত সুবিধাভোগীদের রক্ষা করতে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হয় মেয়রসহ তার লোকজন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র ও নলডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বলেন, চাল বিতরণের সময় কয়েকজন যুবক টিপসই না দিয়ে বারবার চাল নিচ্ছিল এবং বিশৃঙ্খলা করছিল। তাদের চলে যেতে বললে তারা বাইরে গিয়ে হৈ-হুল্লোড় করে। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটলেও মারপিট বা ক্ষুরের আঘাতের ঘটনা সঠিক নয়। তাছাড়া শরিফুল ইসলাম পিয়াসের সাথেও কোনো দ্বন্দ্ব নেই বলে তিনি দাবি করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নলডাঙ্গা পৌরসভার ভেতরে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ৪নং ওয়ার্ডের কার্ডধারীদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ চলছিল। ৪৯৪ জন হতদরিদ্র মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে চাল গ্রহণ করছিলেন। এ অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে লাইনে দাঁড়ানো ৪নং ওয়ার্ডের সোনাপাতিল মহল্লার বাসিন্দা শাহিন, রকি, নয়ন, মিঠুন, রানা, নলডাঙ্গার রাজিব, আশিক, পূর্ব সোনাপাতিল মহল্লার আলমগীর, মনিরুল, হলুদঘর মহল্লার স্বাধীনসহ অন্তত ১৫ জন সুবিধাভোগীকে হাতুড়ি, বাটাম দিয়ে বেদম মারপিট করে পৌরসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়।
নলডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াস অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পৌরসভার নানাবিধ অনিয়মের প্রতিবাদ করাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মেয়রের সাথে তার বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার তার ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের ওপর মেয়র মনির নিজে ও তার লোকজন হাতুড়ি, বাটাম নিয়ে বেদম মারপিট করে পৌরসভা থেকে বের করে দেন।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে জানান, পূর্ববিরোধ ও ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় অতিরিক্ত লোক থাকায় পৌরসভার তেতরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আহত একজনকে পুলিশ হাসপাতালে পাঠিয়েছে, আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।