Logo
Logo
×

সারাদেশ

বন্যহাতির আক্রমণে চরম আতঙ্কে দুর্গাপুরের গ্রামবাসী

Icon

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম

বন্যহাতির আক্রমণে চরম আতঙ্কে দুর্গাপুরের গ্রামবাসী

রাত যেন শেষ হয় না দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তে বসবাসরত আদিবাসীদের। চরম আতঙ্কে কাটছে রাতের পর রাত। এই বুঝি হাতিরা গ্রামে প্রবেশ করে শুরু করবে তাণ্ডব। হাতে টর্চলাইট, হাতে মশাল ও ঘণ্টা বাজিয়ে হাতি ঠেকাতে ব্যস্ত ওই এলাকার মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে বন্যহাতির দল।

সীমান্তের ওপার থেকে আসা বন্যহাতির দল উপজেলার কুল্লাগড়া ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বিজয়পুর, আড়াপাড়া, ছনগড়া, রানীখং, ভাংতিরপার, ভবানীপুর, বাদাম বাড়ি ও দাহাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এতে চরম আতঙ্কে বসবাস করছে ওই এলাকার হাজারও মানুষ। প্রায় প্রতিদিনই ভাঙচুর করছে ঘরবাড়ি, নষ্ট করছে খেতের ফসল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই সীমান্তবর্তী কুল্লাগড়া ও দুর্গাপুর ইউনিয়নে ৩০-৩৫টি হাতি পাহাড়ি উঁচুনিচু টিলায় অবস্থান করলেও সন্ধ্যা হলেই প্রবেশ করে গ্রামের বসতিস্থলে। ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবে গত কয়েক বছরে সীমান্তের গ্রামগুলোর ঘরবাড়ি, ফসল, গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। হাতির আক্রমণে আহতের ঘটনাও ঘটেছে প্রতিনিয়ত। তবে গত ৭ মাস ধরে হাতির দল প্রায় প্রতিদিনই সকাল-বিকাল হামলা শুরু করেছে। এজন্য চরম আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে গ্রামবাসী।

এ নিয়ে দাহাপাড়া গ্রামের আদিবাসী নেত্রী সূচনা সাংমা ও কার্তিক হাজং যুগান্তরকে বলেন, দুই দিন ধরে হাতির আতঙ্কে রাতে ঘুমাই না। কখন যে কার বাড়িতে আক্রমণ শুরু হয় এ আতঙ্কে রয়েছি আমরা। বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

উত্তর ভবানীপুর গ্রামের হাবিল উদ্দিন, তাইজুল মিয়া ও একলাছ মিয়া বলেন, প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে বন্য হাতির দল। সামনে ঈদ, ঘরে রাখা ধান, চাল সব খেয়ে ফেলেছে। এমন চলতে থাকলে ঘরবাড়ি ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই। 

এ নিয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী বলেন, আমাদের লোকজন ওই এলাকায় অবস্থান করছেন। গ্রামের মানুষদের সতর্ক থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হয়েছে।
 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ওই এলাকায় নতুন করে শুরু হয়েছে বন্যহাতির তাণ্ডব। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হয়েছে। এবারের তাণ্ডবে যাদের ক্ষতি হয়েছে তালিকা করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম