যমুনায় অস্ত্র খোয়ানো সেই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ১১:০৫ পিএম
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানকালে শটগান হারিয়ে ফেলা পুলিশের সেই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার বরখাস্তের পর দৌলতপুর থানা থেকে তাকে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কনস্টেবলের নাম মো. আল আমিন। তিনি দৌলতপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।
দৌলতপুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাচ্চু মিয়া ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদীতে কয়েকটি খননযন্ত্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তা বলগেট দিয়ে বিক্রি করে আসছিলেন। এতে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়ে। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে বাঘুটিয়া ও জিয়নপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অর্ণব মালাকার যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে একটি খননযন্ত্র জব্দ করেন। এ সময় কনস্টেবল মো. আল আমিনের হাতে থাকা শটগানটি নদীতে পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা শটগানটি উদ্ধারে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে অভিযান চালায়। তবে খোয়া যাওয়া শটগানটি উদ্ধার করা যায়নি।
তিনি আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ড্রেজার পরিচালনার অভিযোগে দুইজনের কাছ থেকে চার লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। তবে এখনো মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুজন সরকার বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময়ে কনস্টেবলের সঙ্গে থাকা শটগান নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। অস্ত্রটি উদ্ধারে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।