থামাতে গিয়ে পুলিশই দুপক্ষের হামলার শিকার!
নড়াইল ও লোহাগড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়াইলের লোহাগড়ায় মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই গ্রামের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দুইপক্ষই পুলিশের ওপর হামলা করে।
এতে লোহাগড়া থানার মুন্না হোসেন (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের ঝিকড়া পাকার মাথা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই হামলার ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাৎক্ষণিক লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের হামারোল গ্রামের মৃত শাখাওয়াত খানের ছেলে আক্তার খানকে (৫৩) আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় আমাদা গ্রামের আক্তার খানের মেয়ে বিথী খানম ও ছেলে নয়ন খান পার্শ্ববর্তী ঝিকড়া পাকার মাথা বাজারে মাছ কেনার জন্য আসেন। মাছ বিক্রেতা পূর্বে স্থানীয় লোকজনের কাছে ২০০ টাকা দরে বিক্রয় করলেও ওই নারী ক্রেতার কাছে ১৬০ টাকা দরে বিক্রয় করেন।
এ সময় ওই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ঝিকড়া গ্রামের কামাল শেখের ছোট ভাই সজিব শেখ নারী ক্রেতাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। পরে বিথী বাড়ি ফিরে তার পিতা আক্তার খাঁ ও আমাদা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শওকত খানের নিকট অভিযোগ করেন। পরে তাদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক এসে ঝিকড়া বাজারে হামলা করবে এমন তথ্য পাওয়ায় ইউপি সদস্য কামাল তার লোকজন নিয়ে পালটা হামলার পরিকল্পনা করেন।
দুই গ্রামের লোকজন মুখোমুখি অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের গাড়ির কেবিন গ্লাস ও লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। এ সময় পুলিশ সদস্য মুন্না আহত হন।
লোহাগড়া থানার ওসি মো. নাসির উদ্দীন বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যের চিকিৎসা চলছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করায় তাৎক্ষণিক একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া বরদাশত করা হবে না। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।