কুরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত ধামরাইয়ের সম্রাট লালবাহাদুর শাহ
শামীম খান, ধামরাই (ঢাকা)
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম
এবারের কুরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত ঢাকার ধামরাইয়ের সিতি গ্রামের মীর হোসেনের ৪০ মণ ওজনের সম্রাট লালবাহাদূর শাহ। ওই ষাঁড় গরুটির দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। আর উপজেলার সবচেয়ে বড় কুরবানির পশু সম্রাট লালবাহাদূর শাহ। এ গরু দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের সিতি গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি মো. মীর হোসেন আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে তিনি পালন করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। ভালোবেসে সাড়ে তিন বছর বয়সি ৪০ মণ ওজনের ষাঁড় গরুটির নাম দিয়েছেন ধামরাইয়ের সম্রাট লালবাহাদুর শাহ।
সাড়ে তিন বছর আগে মীর হোসেন আড়াই লাখ লাখ টাকা মূল্যে কেনা গাভির সঙ্গে ছিল তিন মাস বয়সি বাছুর। তারপর থেকে পরম যত্নে বাছুরটিকে নিজ সন্তানের মতো সম্রাট লালবাহাদুর শাহকে লালন পালন করেছেন তিনি। ১১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফুট প্রস্থের সম্রাট লালবাহাদুর শাহের ওজন এখন ৪০ মণ। সম্রাটের খাবার তালিকায় নেই কোনো রাসায়নিক খাবার।
শুধুমাত্র সবুজ ঘাস আর কুড়া-ভুসি খইল খাইয়েই সম্রাট লালবাহাদুর শাহকে বড় করেছেন খামারি মীর হোসেন। বিক্রির জন্য তিনি সম্রাট লালবাহাদুর শাহের দাম হাঁকছেন ২৫ লাখ টাকা। চাষি মীর হোসেনের খামারে ২০ মণ, ২৩ মণ ও ২৭ মণের আরও তিনটি ভিন্ন রঙের কুরবানির পশু রয়েছে।
ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন চার বেলা শ্যাম্পু দিয়ে সম্রাট লালবাহাদুর শাহকে গোসল করানো হয়। সম্রাট লালবাহাদুর শাহর মাথা ঠাণ্ডা রাখতে বাতাস করা হয় বড় একটি ফ্যান দিয়ে। তিন বছরে সম্রাটের পেছনে মীর হোসেনের খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা।
সম্রাট লালবাহাদুর শাহ এ বছর জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে দাবি করে মীর হোসেন জানান, আমার অনেক দিনের শখ আমি এমন কিছু একটা করে দেখাব। শুকরিয়া ওই মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে। তিনি আমার মনোবাসনা আজ পূরণ করেছেন। আমি অনেক খুশি।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা খামারিরা যেন কাঙ্ক্ষিত মূল্যে তাদের কুরবানির পশুগুলো বিক্রি করতে পারেন। তাহলে খামারিরা আরও উৎসাহিত হবেন ভবিষ্যতের জন্য।