৩০ মণের ‘সিংহরাজ’ নিয়ে চিন্তিত সুচিন্ত্য (ভিডিও)
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ০৫:৪৩ পিএম
রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সিংগা গ্রামের সিংগা বাজারসংলগ্ন এলাকায় সুচিন্ত্য কুমার সেনের খামারে কুরবানির জন্য প্রস্তুত ‘সিংহরাজ’ নামক ষাঁড়। যার দাম হাঁকা হয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। সিংহরাজের ওজন হয়েছে ১২০০ কেজি অর্থাৎ ৩০ মণ। সিংহরাজ ১০ ফুট লম্বা ও উচ্চতায় ৬ ফুট। সবার আগ্রহ ষাঁড়টি দাম কত দামে বিক্রি হচ্ছে।
রোববার সরেজমিন খামারি সুচিন্ত্য কুমারের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আর অল্প কয়েক দিন পর কুরবানির ঈদ; কিন্তু আমার খামারের ষাঁড় সিংহরাজটির কম দাম বলায় এখনো সেটিকে বিক্রি করতে পারছি না। কুরবানির ঈদে ষাঁড়টি বিক্রি নিয়ে আমি খুবই শঙ্কিত ও চিন্তিত। ষাঁড় সিংহরাজকে বিক্রি করতে না পারলে আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকাই মুশকিল হবে।
খামারি সুচিন্ত্য সেন বলেন, চার বছর আগে কুষ্টিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের কালো রঙের ষাঁড়টি ৭৫ হাজার টাকায় কিনে এনেছিলাম। তারপর বাড়িতে এনে অনেক যত্নে ষাঁড়টিকে লালন-পালন শুরু করি। আদর করে আমি তার নাম দিয়েছি ‘সিংহরাজ’।
তিনি আরও বলেন, সিংহরাজকে মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ আজ পর্যন্ত দেইনি। সিংহরাজকে কেনার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ষাঁড়টির জন্য ২৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি; কিন্তু ১০ লাখ টাকার বেশি কেউ দাম বলছেন না।
সিংগা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন শেখ বলেন, সুচিন্ত্য কুমার প্রতিদিন এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকার খাবার সিংহরাজ ষাঁড়কে খাওয়ান। এখন তিনি যদি এই কুরবানিতে সিংহরাজ ষাঁড় গরু বিক্রি করতে না পারেন তাহলে তার অনেক ক্ষতি হবে।
সুচিন্ত্য কুমারের প্রতিবেশী হাসান মাহমুদ বলেন, সিংহরাজ ষাঁড় গত বছর বিক্রি করতে পারে নাই। অনেক টাকা খরচ করে সুচিন্ত্য যদি এবারো বিক্রি করতে না পারে তাহলে তার অনেক টাকা লোকসান হবে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. মো. খায়ের উদ্দীন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, জেলার মধ্যে এবার সবচেয়ে বড় গরু হলো রাজবাড়ীর সিংগা গ্রামের সুচিন্ত্য সেনের ষাঁড় গরু সিংহরাজ। গত ৩ বছর যাবত আমরা লক্ষ্য করছি- বড় গরুর চেয়ে মাঝারি আঁকারের ষাঁড়ের চাহিদা বেশি। এজন্য খামারিদের আমরা মাঝারি ষাঁড় গরু পালনের নির্দেশনা দিচ্ছি। যাতে খামারি সেটি খুব সহজেই বিক্রি করতে পারেন। বড় ষাঁড় গরু ক্রেতাদের তেমন চাহিদা নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তা।