করোনা টিকার জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম
প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে আইডি কার্ড ও করোনার টিকার জন্য ছাত্রদের কাছে থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তদন্ত শেষে গত সপ্তাহে প্রধান শিক্ষক মির্জা রাশিদুল কবিরের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের উপ-পরিচালকের দপ্তর সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
মামলা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিটিএ কমিটি ও অভিভাবকদের পক্ষে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ইউনিক আইডি কার্ড ও কোভিড-১৯ টিকার জন্য জনপ্রতি ৫০ টাকা ও ৩০ টাকা করে প্রধান শিক্ষক মির্জা রাশিদুল কবির চাঁদা উত্তোলন করেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ আসার পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়।
কমিটি সরেজমিন তদন্ত শেষে প্রতিবেদনসহ প্রাথমিক শিক্ষা রাজশাহী বিভাগীয় অফিসে প্রেরণ করেন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। তদন্ত প্রতিবেদন ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র যাচাই করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর তার বিরুদ্ধ বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক শেখ রায়হান উদ্দিন জানান, করোনার টিকা সরকার বিনামূল্যে দিয়েছে। এছাড়া ইউনিক আইডি কার্ড বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিধান নেই। প্রধান শিক্ষক এসব অপরাধ করেছেন। তার এসব অপরাধ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ এর দফা (খ) ও (ঘ) “অসদাচারণ ও দুর্নীতি পরায়ন” এর পর্যায়ভুক্ত।
তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এরপরই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। চূড়ান্ত তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মির্জা রাশিদুল কবির কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে জানান।