ফরিদপুরে শ্বশুর তোতা মিয়াকে হত্যার দায়ে জামাই আলামিনকে (৪১) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
রায় প্রদানের সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে ভাষানচর ইউনিয়নের গফুর মাতুব্বরের ডাঙ্গি গ্রামের তোতা মিয়ার মেয়ে আজুফা বেগমের (৩৮) সাথে পার্শ্ববর্তী নয়রশি গ্রামের আলামিনের (৪১) বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই আলামিন বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকার জন্য তাকে নির্যাতন করে আসছিল। সর্বশেষ জুয়া খেলা ও মাদকের টাকার জন্য আজুফার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে। এতে আজুফা অস্বীকৃতি জানালে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় আলামিন।
এই নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি ফরিদপুরের নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আলামিনকে একতরফা তালাক দেয় আজুফা। এ ঘটনা জানার পর আলামিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
এরপর ২০ জানুয়ারি শ্বশুরবাড়িতে এসে আলামিন ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার শ্বশুর তোতা মিয়াকে টিউবওয়েলের মাথা দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ২২ জানুয়ারি আলামিন ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে সদরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।