মন খারাপ করে বসে থাকা ছাত্রীকে পাটখেতে নিয়ে ধর্ষণ
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম
রাজশাহীর বাঘায় মন খারাপ করে আমবাগানে বসে থাকা চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পাটখেতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক শিমুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে মঙ্গলবার বাঘা থানায় মামলা করেছেন।
বুধবার সকালে বাঘা থানার পুলিশ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী (১১) লেখাপড়া না করায় চাচা বকাঝকা করেন। এতে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মন খারাপ করে পাশের আমবাগানে বসেছিল। এ সময় বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদুপুরের উদপুর চরের মোজাম আলীর ছেলে শিমুল হোসেন (৩৫) আমবাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার মন খারাপ দেখে তার কাছে যান। পরে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে কৌশলে পাশের পাটখেতের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে জানায়।
ওই ছাত্রীর পরিবার শিমুলের পরিবারকে অবগত করলে পাত্তা না দিয়ে উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের জানালে আইনি আশ্রয়ের পরামর্শ দেন। ছাত্রীর পরিবার নিরুপায় হয়ে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, তারা অত্যন্ত গরিব মানুষ। চাচার কাছে রেখে মেয়ের বাবা ঢাকায় এবং মা সৌদি আরবে থাকেন। তবে মেয়েটি মেধাবী। স্কুলটি দুই শিফটে পরিচালিত হয়। দ্বিতীয় শিফটে তার স্কুলে আসার কথা ছিল কিন্তু মঙ্গলবার ওই ঘটনার কারণে স্কুলে আসেনি। সে আমার স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
স্কুলছাত্রীর চাচা জানান, মেয়েকে আমার কাছে রেখে ভাই ঢাকায় রিকশা চালান আর ভাবি সৌদি আরবে থাকেন। মেয়ে লেখাপড়া না করায় একটু বকা দিয়েছিলাম। আমার অজান্তে রাগ করে পাশের এক আমবাগানে গিয়ে বসেছিল। এ সময় শিমুল তাকে কৌশলে পাটখেতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরে বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে শিমুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। শিমুলের বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা দেখা যায়। বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। শিমুল দুই সন্তানের জনক। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার দেওয়ান বাবুল বলেন, শিমুলের স্ত্রী সকালে কোলে দুটি সন্তান নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। যেহেতু মামলা হয়েছে, আইনিভাবে মোকাবেলা করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছি।
বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্কুলছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।