কুরবানির গরু কিনে দেওয়ার কথা বলে ৫ লাখ টাকা-আইফোন ছিনিয়ে নিল গৃহকর্মী
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম
![কুরবানির গরু কিনে দেওয়ার কথা বলে ৫ লাখ টাকা-আইফোন ছিনিয়ে নিল গৃহকর্মী](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/06/13/image-685612-1686660557.jpg)
রাজধানীর উপকণ্ঠে অফিসের মালিক আব্দুল আওয়াল খন্দকারকে ঈদুল আজহার কুরবানির জন্য ভালো ষাঁড় গরু কিনে দেওয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও আইফোনসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়েছে গৃহকর্মী ও তার সহযোগীরা। সেইসঙ্গে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে সড়কের পাশের ৪০ ফুট গভীর খাদে ফেলে দিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।
আব্দুল আওয়াল খন্দকার রাজধানীর গুলশান থানার ৫৮নং রোডের ৫নং বাড়ির মো. আব্দুল রউফ খন্দকারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী নিজে ও ধামরাই থানা পুলিশ সূত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আব্দুল আওয়াল খন্দকারের অফিসের অনিয়মিত বাবুর্চি বা গৃহকর্মী জামালপুর সদরের তেরিরচর গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রেফেজা বেগম (৪৫) ও তার স্বামী ইদ্রিস আলী কুরবানির ভালো ষাঁড় গরু কিনে দেওয়ার কথা বলে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ধামরাইয়ের নান্নার এলাকার কথা বলে নিয়ে আসে। আব্দুল আওয়াল খন্দকার সরল বিশ্বাসে গরু কেনার জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা, তার ব্যবহৃত এক লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের আইফোন ও সঙ্গীয় ওই দুইজনকে নিয়ে ব্যক্তিগত নিশান পেট্রোল গাড়িযোগে রওনা হন।
বিভিন্ন স্থানে সময়ক্ষেপণ শেষে তারা বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের সুতিপাড়া এলাকার মোড়ে পৌঁছলে সঙ্গীয় ওই দুইজন অফিস মালিকের গলায় ধারালো ছুরি ধরে বেধড়ক মারধর করে টাকার ব্যাগ ও আইফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ৪০ ফুট গভীর সড়কের পাশে খাদে ফেলে দেয় তারা।
এরপর ফিল্মি স্টাইলে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের অপর দুইজন ছিনতাইকারী ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত ওই দুইজনকে মোটরসাইকেলে তোলে এলাকা ত্যাগ করে।
পথচারীরা ওই ব্যক্তির গোঙানির শব্দ শুনে দৌড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি আবাসিক হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি চিকিৎসাসেবা শেষে ধামরাই থানায় এসে ওই গৃহকর্মী ও তার কথিত স্বামী ইদ্রিস আলীসহ চারজনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল আওয়াল খন্দকার বলেন, রেফেজা বেগম আমার অফিসের অনিয়মিত বাবুর্চি ছিল। তাই তার স্বামী পরিচয়দানকারী ইদ্রিস আলী ও তার কথা বিশ্বাস করে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গরু কিনতে বাড়ি থেকে বের হই ঢাকার ধামরাইয়ের নান্নার গ্রামের উদ্দেশে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের সুতিপাড়া মোড়ে পৌঁছলে তারা আমার গলায় ছুরি ধরে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৪০ ফুট গভীর খাদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে না নিলে আমার মৃত্যু অবধারিত ছিল।
গৃহকর্মী রেফেজা বর্তমানে রাজধানীর বনানী থানার কুড়িল এলাকার বস্তিতে বসবাস করে। তার স্থায়ী ঠিকানা জামালপুর সদর থানার তেরিরচর এলাকায়।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার এসআই মো. ফয়েজ আহাম্মেদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।