Logo
Logo
×

সারাদেশ

অলিপুরের ‘জমিদারের’ দাম ৮ লাখ টাকা

Icon

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম

অলিপুরের ‘জমিদারের’ দাম ৮ লাখ টাকা

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিশালাকৃতির ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাক্ষণডোরা ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের আদর্শ এগ্রো ফার্মের মালিক রাহাত মঈন উদ্দিন মুন্না। ষাঁড়টির নাম রেখেছেন অলিপুরের জমিদার। খয়েরি রঙের আকর্ষণীয় ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে আট লাখ টাকা।

সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বড় হয়ে ওঠা অলিপুরের জমিদারের ওজন ৮০০ কেজি (২০ মণ)। এর দৈর্ঘ্য ৮৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ৬০ ইঞ্চি। 

এক বছর আগে হবিগঞ্জ থেকে দুই লাখ বিশ হাজার টাকা দিয়ে শাহিয়াল জাতের ষাঁড়টি কিনে পরিচর্যা শুরু করেন মুন্না। কোনো ধরনের ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে অলিপুরের জমিদারকে।

বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেক ক্রেতাও রয়েছেন।

প্রতিদিন প্রায় ২০ কেজি কাঁচা ঘাস, ১০ কেজি সাইলেজ, ৫ কেজি ভুসি, দুই কেজি খৈল রয়েছে অলিপুরের জমিদারের খাবারের মেনুতে। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দিনে তিনবার গোসল করানো হয়। পাশাপাশি পশুচিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরিচর্যা চলে।

আদর্শ এগ্রো ফার্মে শাহিয়াল, ফিজিয়ান ও দেশাল জাতের ২৬টি ষাঁড় রয়েছে। কুরবানির ঈদ সামনে রেখে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ১৮টি ষাঁড়। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে অলিপুরের জমিদার।

২০ মণের এ ষাঁড়টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে।

আদর্শ এগ্রো ফার্মের মালিক রাহাত মঈন উদ্দিন মুন্না বলেন, পরম মমতায় এক বছর যাবত ষাঁড়টি যত্নসহকারে লালনপালন করে আসছি। শুধু দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করেছি। আদর করে এর নাম দিয়েছি অলিপুরের জমিদার। তবে ষাঁড়টির নাম দিয়েছে আমার ছেলে।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন বলেন, অলিপুরের জমিদারই উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বড় হয়েছে ষাঁড়টি। প্রাণিসম্পদ অফিস নিয়মিত দেখাশোনা করছে অলিপুরের জমিদারের।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম