Logo
Logo
×

সারাদেশ

পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস

Icon

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ১১:১০ পিএম

পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস

ফাইল ছবি

ঢাকার ধামরাইয়ে নিকলা জেএহক উচ্চবিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী, আয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মনোনীত প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস, মাসব্যাপী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বাড়িতে রেখে নিয়োগ পরীক্ষার রিহার্সেল দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। 

মনোনীত প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার সুবিধার্থে টানা পাঁচবার নিয়োগ পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ ও সময় পরিবর্তনেরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে ওই সভাপতি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। শনিবার এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। 

একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার মুন্সিচর এলাকার নিকলা জেএহক উচ্চবিদ্যালয়ে সরকারি বিধি মোতাবেক সম্প্রতি একজন নৈশপ্রহরী, একজন আয়া ও একজন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।  প্রতিটি পদের বিপরীতে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেন স্ব স্ব পদে চাকরির জন্য। এতে সভাপতি ও দুইজন শিক্ষকের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে মহাবিপাকে পড়ে যান তারা। ফলে কৌশল করে টানা পাঁচবার নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরিবর্তন করা হয়। সর্বশেষ শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে এ নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে এ নিয়োগ পরীক্ষা। এর আগে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম।

এমনকি নৈশপ্রহরী পদে মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমানের ছেলে রাজিব হাসানকে সভাপতির নিজ বাড়িতে মাসাধিককাল রেখে এ নিয়োগ পরীক্ষার রিহার্সেল দেওয়া হয়। এমনকি প্রশ্নপত্রও ফাঁস করে দেওয়া হয় পরীক্ষা গ্রহণের আগেই। 

আব্দুল গণি সুমন নামে একজন রাজনৈতিক নেতা ও আলমিন হোসেন হাওলাদার নামে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন বলেও জানা গেছে।

এ নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন- নিকলা জেএহক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আওলাদ হোসেন, মো. শাহীন আলম, মো. শাহআলমসহ সব শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীন আশরাফী, ডিজির প্রতিনিধি রাজধানীর বেগম ফজিলাতুন্নেসা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। 

আব্দুল গণি সুমন বলেন, আমার প্রার্থীকে সভাপতি নজরুল ইসলাম যেমন সহায়তা করেছেন তেমনি তিনি অন্য প্রার্থীদেরও সাহায্য করেছেন। শুধু তাদের দাবিকৃত সাত লাখ টাকা প্রদান করতে রাজি না হওয়ায় আমার প্রার্থীর চাকরি দিতে পারেনি। 

শিক্ষক কাজী ইউসুব ও শাহিন মিয়া বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যাচার করা হয়েছে। যারা চাকরি পেয়েছে তারা পরীক্ষায় পাশ করার পরই পেয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ।

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে। কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেওয়া হয়নি। এমনকি কোনো প্রকার প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।

এ ব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আলামিন হোসেন হাওলাদার বলেন, পরীক্ষা স্বচ্ছ হয়নি। অনেক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম