Logo
Logo
×

সারাদেশ

রং নাম্বারে পরিচয়, অপহরণ করে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ১০:৪৯ পিএম

রং নাম্বারে পরিচয়, অপহরণ করে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মোবাইলে রং নাম্বারে পরিচয়ের পর অপহরণ করে মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৯) আটক রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মো. নাজিমুল হক সুমনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

রোববার সকালে তাকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গ্রেফতার নাজিমুল হক সুমন (২৬) নোয়াখালী সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নর পূর্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে।

এর আগে শনিবার ভোররাতের চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। একই দিন রাত ১০টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।

জানা যায়, ভিকটিম সুবর্ণচর উপজেলার স্থানীয় একটি ফাজিল মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। চার মাস আগে তার ব্যবহৃত নাম্বার থেকে একটি নম্বর ভুল হয়ে সুমনের মোবাইল ফোনে কল চলে যায়। পরবর্তীতে সুমন তাকে প্রতিনিয়ত কল করত। এরপর সুমন ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে, সে শুধুমাত্র ভিকটিমের সঙ্গে একবার দেখা করার অনুরোধ করে।

ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি হয়। একপর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুমন অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা শহর মাইজদীর লক্ষীনারায়ণপুর এলাকায় তার খালা মর্জিনা আক্তারের বাসা ইসমাইলা মিয়া চৌকিদার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রুমি আক্তার ও মর্জিনা আক্তারের সহযোগিতায় ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুমন। এরপর ভিকটিমকে তাদের বসতঘরে আটকে রাখে।

ভিকটিম ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠলে, একটি মোবাইল দেখে কৌশলে তার ভাইয়ের মোবাইল ফোনে মেসেজ দিয়ে সংক্ষেপে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থলের নাম লিখে দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ৮ মে নির্যাতিতা তরুণী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত সুমনসহ আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম