চট্টগ্রামে বড় পরিসরে হচ্ছে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ০৪:২৯ এএম
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত শুরু হচ্ছে বৃহৎ পরিসরের আন্তর্জাতিক মানের হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। দুই বিভাগে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় দেওয়া হবে ছয়জনকে বিশেষ পুরস্কার।
একই সঙ্গে ছয়জন বিজয়ীর পিতামাতাকে নেয়া হবে ওমরাহ হজে। ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া গত ৮ মে থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান প্রতিযোগিতার আয়োজনকারী সংস্থা জলিল-জাহান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, জলিল-জাহান ফাউন্ডেশনের সদস্য মুজিবুল হক চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, বাহাউদ্দীন জুয়েল, সাজ্জাদ খালেদ সুমন, সাইফুদ্দিন চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য বোখারী আযম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩০ পারা বিভাগে অনুর্ধ্ব ১৬ বছর ও ১৫ পারা বিভাগে অনুর্ধ্ব ১৪ বছরের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিযোগিতাটি প্রাথমিক পর্যায়ে সাতকানিয়ার কেরানীহাটস্থ ‘সী-ওয়ার্ল্ড রিসোর্টে’ ১৭ জুলাই থেকে ২০ জুলাই ৪ দিনব্যাপী মোট চারটি রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে। তবে চূডান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়।
৩০ পারা ও ১৫ পারার ২টি পৃথক বিভাগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ পারা বিভাগে ১ম পুরস্কার ১ লাখ ১ টাকা, ২য় পুরস্কার ৫০ হাজার ১ টাকা, ৩য় পুরস্কার ২৫ হাজার ১ টাকা এবং ৪র্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারী প্রত্যেকের জন্য থাকবে ১০ হাজার ১ টাকা পুরস্কার।
একইভাবে ১৫ পারা বিভাগে ১ম পুরস্কার ৫০ হাজার ১ টাকা, ২য় পুরস্কার ২৫ হাজার ১ টাকা এবং ৩য় পুরস্কার ১৫ হাজার ১ টাকাএবং ৪র্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারী প্রত্যেকের জন্য থাকবে ৫ হাজার ১ টাকা পুরস্কার।
এছাড়াও উভয় বিভাগের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী অর্থাৎ মোট ৬ জনের গর্বিত পিতামাতার জন্য থাকবে পবিত্র ওমরাহ পালনের সুবর্ণ সুযোগ, যার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচাদি জলিল-জাহান ফাউন্ডেশন বহন করবে।
জলিল-জাহান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিযোগীদের মধ্যে ৩০ পারা বিভাগ হতে ১৬ জন ও ১৫ পারা বিভাগ হতে ১৬ জন অর্থাৎ মোট ৩২ জনপ্রতিযোগী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তাদের বাবা-মাকে সাথে নিয়ে ফাউন্ডেশনের খরচে ঢাকায় যাবেন ও চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষ হওয়া পর্যন্ত ফাউন্ডেশনের খরচে ঢাকায় অবস্থান করবেন।