Logo
Logo
×

সারাদেশ

মায়ের কবরের পাশে সমাহিত সিরাজুল আলম খান

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১১:০৯ পিএম

মায়ের কবরের পাশে সমাহিত সিরাজুল আলম খান

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সাহেব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

জানাজায় দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন আ স ম আবদুর রব, নাজমুল হক প্রধান, ডা. এবিএম জাফর উল্লা, পেয়ারুল আলম খান এবং পারিবারিক আত্মীয় কবি ফরহাদ মাজাহার। 

এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলমের দাফনের আগে নোয়াখালী পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

এর আগে শনিবার দুপুরের দিকে পৈতৃক ভিটায় সিরাজুল আলমের লাশ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেন। এ সময় প্রিয় নেতার লাশ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

এদিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া রব, কবি ফরহাদ মাজহার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, নোয়াখালী জেলা জাসদের আহ্বায়ক আমির হোসেন বিএসসি, যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর রহমান চেয়ারম্যান, ইকবাল হোসেন, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী সি-জোন কমান্ডার মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ।

শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তার উদ্যোগে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম