টঙ্গীতে রিফাত হত্যার বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
টঙ্গী পূর্ব (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩, ১১:১৫ পিএম
গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তরুণকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
বিক্ষুব্ধ জনতা বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এরশাদনগর এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
নিহত শরীফ হোসেন রিফাত টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ২নং ব্লকের ফারুক মিয়ার ছেলে। তিনি পাঠাও (রাইড শেয়ারিং অ্যাপ) চালক ছিলেন।
অবরোধকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্বপাশে প্রায় একঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের দেয়া আশ্বাসে রিফাতের স্বজন ও এলাকাবাসী মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে এলাকার শাখা সড়কে অবস্থান নেন।
নিহত স্বজনদের দাবি রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অভিযুক্ত দুজনের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, রিফাতের স্বজনদের বিচারের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হলে তারা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এ ঘটনাটি গাছা থানায় ঘটেছে । তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে খুঁজছে পুলিশ।
টঙ্গী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) হযরত আলী মিলন বলেন, এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করছেন টঙ্গী নৌ-পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান। পাশাপাশি কয়েকটি সংস্থা ছায়া তদন্ত করছেন।
এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করছে নৌ-পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরতে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের একটি দলও কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ২নং ব্লকের বাসিন্দা পাঠাও চালক শরীফ হোসেন রিফাতকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় যুবক কাজল ও সোহাগ। রাতে তারা বাসায় ফিরে এলেও বাসায় ফেরেনি রিফাত। পরদিন মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুর মহানগরীর পলাশোনা এলাকার তুরাগ নদীর পানিতে তার লাশ ভেসে উঠে।