Logo
Logo
×

সারাদেশ

দুর্বৃত্তের আগুনে ঝলসে যাওয়া জাহাঙ্গীর প্রাণসংকটে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন (পটুয়াখালী)

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ১১:০৪ পিএম

দুর্বৃত্তের আগুনে ঝলসে যাওয়া জাহাঙ্গীর প্রাণসংকটে

পটুয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মো. জাহাঙ্গীর ফকির (৩৮) নামে এক যুবকের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে।

আগুনে ঝলসে যাওয়া ওই যুবক বর্তমানে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওখানকার চিকিৎসক বলেছেন- আগুনে দ্বগ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীরের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়েছে।

বিকল্প পদ্ধতিতে তাকে খাবার দিয়ে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার চার দিনের মাথায় ৬ জুন পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেছেন ভিকটিমের ভাই জামাল ফকির।

জাহাঙ্গীর ফকির র্দীঘদিন পটুয়াখালী পৌর এলাকার ফায়ার সার্ভিস রোডের সিকদার রেস্ট হাউজে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। জাহাঙ্গীরের বাড়ি দুমকি উপজেলার চরগরদিতে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও মামলার বাদী বলেন- স্থানীয় শাহিন গাজীর ছেলে ঘটনায় অভিযুক্ত সাকিব গাজী (২২) সিকদার রেস্ট হাউজের কক্ষে ঢুকে মাদক সেবনসহ অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতেন। যে কারণে প্রায়ই সাকিবকে রেস্ট হাউস কক্ষের চাবি দিতে হতো। 

ঘটনার কয়েক দিন পূর্বে সাকিব কক্ষের চাবি চাইলে তাদিতে অস্বীকৃতি জানান জাহাঙ্গীর। এতে সাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যান। এরপর গত ২ জুন বিকালে সাকিব তার সঙ্গীদের নিয়ে সিকদার রেস্ট হাউসের তৃতীয় তলায় উঠে অফিস কক্ষে অবস্থান করে পূর্বেরমতো কক্ষে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করে চাবি চান। এ সময় চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানান জাহাঙ্গীর। 

এ সময় সাকিবের সঙ্গে থাকা পেট্রল জাহাঙ্গীরের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। জাহাঙ্গীরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জাহাঙ্গীরকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পরামর্শ দেন। 

জাহাঙ্গীরের ভাই মামলার বাদী জামাল ডাক্তারের বরাত দিয়ে বলেন, তার ভাইয়ের ৯০ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ জুন) ভিকটিমের ভাই জামাল ফকির বাদী হয়ে সাকিব গাজী ও তার বাবা শাহিন গাজীকে আসামি করে মামলা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম